অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হল নিখোঁজ তরুণীকে। শুক্রবার দুপুরে নন্দকুমার থানার বেতালবসান গ্রামে ঝোপ থেকে তিন দিন ধরে নিখোঁজ ওই যুবতীকে উদ্ধার করা হয়। আহত ওই যুবতীকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নন্দকুমার থানার পুলিশ জানিয়েছে, আহত অবস্থায় এক যুবতীকে উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে কীভাবে ওই যুবতী আহত হলেন বা তাঁর উপর শারীরিক অত্যাচার হয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দকুমার থানার ব্যবত্তারহাট পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা বছর পঁচিশের ওই তরুণীর বাবা কয়েকবছর আগেই মারা গিয়েছেন। স্নাতকোত্তর পাশ ওই তরুণী মা ও ভাইয়ের সঙ্গে বাড়িতেই থাকতেন। গত মঙ্গলবার বিকেলে পরিবারের লোকের অজান্তে ওই তরুণী বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। পরিবারের লোকেরা ওই তরুণীকে খোঁজাখুজি করেও পাননি। এরপর শুক্রবার দুপুর ১২টা বেতালবসান গ্রামের এক বাসিন্দা একটি সুপারি গাছের বাগানের মধ্যে ওই তরুণীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে পরিবারের লোকেরা খবর পেয়ে সেখানে যান। স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে তাঁকে উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। বেতালবসান গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য সুদর্শন জানা বলেন, “এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ গ্রামের এক বাসিন্দা তাঁর সুপারি বাগানের মধ্যে ওই তরুণীকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ওই তরুণীকে উদ্ধারের পর জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু কীভাবে ওই তরুণীর এমন অবস্থা হল তা বুঝতে পারছি না।”