অমিল এলপিজি সিলিন্ডার, দুর্ভোগে এগরার গ্রাহকরা

গ্রাহকদের অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরেই এগরায় ভারত গ্যাসের সিলিন্ডার সময়মতো মিলছে না। এগরার ভারত গ্যাস সেন্টারের এক আধিকারিক অভিজিৎ সাউ বলেন, “এগরা মহকুমায় আমাদের মোট গ্রাহক রয়েছেন ২৮ হাজার ৬৪০ জন। কিন্তু মাসে প্রায় ১৪ হাজার সিলিন্ডার পাওয়া যায়। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় সরবরাহ এমনিতেই কম।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৪ ০০:৩০
Share:

ডিলার কর্তৃপক্ষের নোটিস।

অমিল এলপিজি সিলিন্ডার। সময়মতো গ্যাস সিলিন্ডার না মেলায় সমস্যায় পড়েছেন এগরা মহকুমার গ্রাহকেরা।

Advertisement

গ্রাহকদের অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরেই এগরায় ভারত গ্যাসের সিলিন্ডার সময়মতো মিলছে না। এগরার ভারত গ্যাস সেন্টারের এক আধিকারিক অভিজিৎ সাউ বলেন, “এগরা মহকুমায় আমাদের মোট গ্রাহক রয়েছেন ২৮ হাজার ৬৪০ জন। কিন্তু মাসে প্রায় ১৪ হাজার সিলিন্ডার পাওয়া যায়। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় সরবরাহ এমনিতেই কম। তাছাড়া ভর্তুকি মূল্যে বছরে ৯টি করে সিলিন্ডার গ্রাহকদের দিলেও মাসে প্রায় ২১ হাজার সিলিন্ডারের সরবরাহ প্রয়োজন। তাই গ্রাহকদের গ্যাস সিলিন্ডার দিতে দেরি হচ্ছে।”

সময়মতো গ্যাস সিলিন্ডার না পাওয়ায় গ্রাহকেরা ভিড় জমাচ্ছেন এগরা শহরে ভারত গ্যাসের একমাত্র ডিলার দিঘা মোড় সংলগ্ন মহালক্ষ্মী গ্যাস সেন্টারে। কিন্তু তাদের কাছ থেকেও কবে সিলিন্ডার পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর মিলছে না। ভারত গ্যাসের গ্রাহক এগরা শহরের বাসিন্দা অনুপ মাইতি বলেন, “সরকার আগে বছরে ৯টি সিলিন্ডার ভর্তুকি মূল্যে দেবে বলে জানিয়েছিল। আগামী অর্থবর্ষ থেকে বছরে গ্রাহক প্রতি ভর্তুকি মূল্যে ১২টি গ্যাস সিলিন্ডার দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু অনলাইনে গ্যাস বুক করার প্রায় ২৫-৩০ দিন পর সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছে। কবে গ্যাস পাওয়া যাবে, সেবিষয়ে ডিলারও কিছু বলতে পারছে না।” ভারত গ্যাসের অপর এক গ্রাহক অনিল দাস বলেন, “কর্মসূত্রে আমি এগরা শহরে থাকি। একটা সিলিন্ডারে আমার তিন মাস চলে যায়। কিন্তু গ্যাস শেষ হলে ফের গ্যাস সিলিন্ডার পেতে অনেক দিন লেগে যাচ্ছে। ফলে এখন রান্না করব কিভাবে, তাই ভাবছি।”

Advertisement

এগরা ছাড়াও জেলার দিঘা ও হলদিয়ায় ভারত গ্যাসের আরও দু’টি সেন্টার রয়েছে। ওই দু’টি সেন্টারের আধিকারিকরা জানান, সরকারি নিয়মেই গ্যাস বুকিং করার দুই-সাত দিনের মধ্যেই গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করা হচ্ছে। আমাদের এখানে গ্যাসের সমস্যা নেই। এগরার ভারত গ্যাস সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ২২ অক্টোবর ২০১৩ তারিখ দেওয়া একটি নোটিসে গ্যাসের অনিয়মিত সরবরাহের কথা জানানো হয়েছে। এখনও সবে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে বুক করা গ্যাস সরবরাহের কাজ চলছে। অথচ মার্চ মাস প্রায় শেষ হতে চলল। ফলে যেসব গ্রাহকরা সবে মাত্র গ্যাস বুক করেছেন, তাঁরা সিলিন্ডার কবে পাবেন তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন। অভিজিৎবাবু বলেন, “প্রতিদিন সিলিন্ডার নিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে বচসা চলছে। অনেক ক্ষেত্রে পুলিশও ডাকতে হচ্ছে। আমাদের কাছে সিলিন্ডার সরবরাহ হলেই গ্রাহকদের পরিষেবা দেওয়া হবে।”

পূর্ব মেদিনীপুরের ভারত গ্যাস কোম্পানির আধিকারিক অমরেন্দ্র কুমারের সঙ্গে ফোনে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। এগরার মহকুমাশাসক অসীমকুমার বিশ্বাস বলেন, “ভর্তুকি মূল্যের এলপিজি সিলিন্ডার সরবরাহ নিয়ে গ্রাহকদের সঙ্গে কেউ অসহযোগিতা করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এনিয়ে কোনও গ্রাহক অভিযোগ জানালেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

নাবালিকাকে বিয়ে, ধৃত। স্ত্রী এবং শিশুকন্যা থাকা সত্ত্বেও তা গোপন করে এক নাবালিকাকে বিয়ে করার অভিযোগে ভূপতিনগর থানার পুলিশ জয়দেব দাস নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। ভগবানপুর ২ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের অভিযোগের ভিত্তিতে জয়দেবকে ধরে পুলিশ। শনিবার পুলিশ কাঁথি আদালতে ধৃত ও নাবালিকাকে হাজির করে। শুনানির পর বিচারক জয়দেবের জামিনের আবেদন নাকচ করে জেল হাজতে রাখার নিদের্শ দেন ও নাবালিকা কিশোরীকে সোমবার পর্যন্ত নন্দকুমারের সরকারি হোমে রাখার নির্দেশ দেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement