আধারের ছবি তোলা নিয়ে অব্যবস্থা, নালিশ

আধার কার্ডের ছবি তোলা নিয়ে অশান্তি ছড়াল। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর গ্রামীণের সতকুঁইয়ের খড়্গপুর ১ ব্লক অফিস চত্বরে। এ দিন ওই অফিস চত্বরে অবস্থিত বড়কোলা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আঁধার কার্ডে নাম তুলতে এসেছিলেন প্রায় হাজার দু’য়েক মানুষ। অভিযোগ, পরিচালনায় অব্যবস্থা থাকায় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও ছবি তোলার কাজ দ্রুত হয়নি। এই অভিযোগে পরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০২:১৩
Share:

আধার কার্ডের ছবি তোলা নিয়ে অশান্তি ছড়াল। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর গ্রামীণের সতকুঁইয়ের খড়্গপুর ১ ব্লক অফিস চত্বরে।

Advertisement

এ দিন ওই অফিস চত্বরে অবস্থিত বড়কোলা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আঁধার কার্ডে নাম তুলতে এসেছিলেন প্রায় হাজার দু’য়েক মানুষ। অভিযোগ, পরিচালনায় অব্যবস্থা থাকায় দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও ছবি তোলার কাজ দ্রুত হয়নি। এই অভিযোগে পরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। বিডিওকে না পেয়ে যুগ্ম-বিডিওকে ক্ষোভ উগরে দেন। পরে আশ্বাস পেয়ে ফিরে যান গ্রামবাসীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরেই শুরু হয়েছে আধার কার্ডের ছবি তোলার কাজ। কয়েক দিন আগেই বড়কোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের আজকপুর, কেশপাল, লিলুয়াকোলা, মাতকাতপুর-সহ প্রায় ৮টি গ্রামে গিয়ে আঁধারের ছবি তোলার প্রচার করেন বিডিও অফিসের প্রতিনিধিরা। এ দিন ছিল ছবি তোলার দিন। সকাল ৮টা থেকেই বিডিও অফিস চত্বরেই অবস্থিত পঞ্চায়েত অফিসে ভিড় জমাতে শুরু করে। বেলা বাড়তে সংখ্যাটা প্রায় দু’হাজার ছোঁয়। তারপরই এক সময় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। জানা যায়, এত লোকের জন্য মাত্র যে দু’টি মেশিনে ছবি তোলার কাজ চলছিল। তার মধ্যে একটি মেশিন বিকল হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়!

Advertisement

গ্রামবাসী বিষয়টি বিডিওকে জানাতে গেলে দেখেন, তিনি অফিসে নেই। সেই সময়ই অফিসে থাকা যুগ্ম বিডিওকে ঘিরে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বিক্ষোভরত কমল ঘোষ, প্রশান্ত ঘোষের প্রশ্ন, “সব কাজ ফেলে সকাল থেকে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছি। লাইন এগোচ্ছে না। এখন বলছে, একটি মেশিন খারাপ। এমন যদি হবে, তবে এত মানুষকে তবে কেন ডাকা হল?”

এ দিন বিডিও কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল বলেন, “আঁধার কার্ডের বিষয়টি একটি এজেন্সি দেখে। তাঁরা বুঝতে পারেনি যে এত লোক এক দিনে হাজির হতে পারেন! অতিরিক্ত মানুষ চলে আসাতেই এই সমস্যা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে গ্রামে-গ্রামে গিয়ে এই ছবি তোলার ব্যবস্থা করা যায়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন