কাজে গিয়ে লাঠির ঘায়ে নিহত

বাঁশের লাঠির ঘায়ে মৃত্যু হল নাড়াজোল রাজ কলেজের এক অস্থায়ী কর্মীর। সহকর্মীর ভারসাম্যহীন ছেলের হাতেই মৃত্যু হয়েছে সনত্‌ রায় (৪০) নামে ওই ব্যক্তির। অভিযুক্ত বিপ্লব খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার সকালে নাড়াজোল রাজ কলেজের পুরনো ভবনের ছাত্রাবাসে পাম্প চালাতে গিয়েছিলেন কলেজের অস্থায়ী কর্মী সনত্‌বাবু। ওই ছাত্রাবাসের পাশেই বাড়ি কলেজের শিক্ষাকর্মী গোপাল খানের। ওই বাড়িতে যাতায়াত ছিল সনত্‌বাবুর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঘাটাল শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০০:২৬
Share:

বাঁশের লাঠির ঘায়ে মৃত্যু হল নাড়াজোল রাজ কলেজের এক অস্থায়ী কর্মীর। সহকর্মীর ভারসাম্যহীন ছেলের হাতেই মৃত্যু হয়েছে সনত্‌ রায় (৪০) নামে ওই ব্যক্তির। অভিযুক্ত বিপ্লব খানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার সকালে নাড়াজোল রাজ কলেজের পুরনো ভবনের ছাত্রাবাসে পাম্প চালাতে গিয়েছিলেন কলেজের অস্থায়ী কর্মী সনত্‌বাবু। ওই ছাত্রাবাসের পাশেই বাড়ি কলেজের শিক্ষাকর্মী গোপাল খানের। ওই বাড়িতে যাতায়াত ছিল সনত্‌বাবুর। গোপালবাবুর ছোট ছেলে মনোরোগী বিপ্লবের চিকিত্‌সা চলছিল। এরই মধ্যে তাঁর বিয়ে ঠিক করেছিলেন পরিজনেরা। চলতি মাসেই বিয়ের দিন স্থির হয়েছিল। সেই উপলক্ষে এ দিন তাঁদের বাড়িতেও বিদ্যুতের কাজ করতে যান সনত্‌বাবু। তখনই ঘটনাটি ঘটে।

ঘটনার সময় গোপালবাবু বাড়িতে ছিলেন না। বিপ্লবের বড়দা বিশ্বজিত্‌ বলেন, “আচমকা বিকট আওয়াজ শুনতে পাই। গিয়ে দেখি সনত্‌কাকু রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। আর ভাইয়ের হাতে একটা লম্বা বাঁশের টুকরো।” বিশ্বজিতের দাবি, “ভাই মাঝেমধ্যেই খেপে গিয়ে অস্বাভাবিক আচরণ করত। এ দিনও তেমনটাই ঘটেছে।” পুলিশ জানিয়েছে, সনত্‌বাবুকে নাড়াজোল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্‌সকেরা জানান, তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের দাদা পঙ্কজ রায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ খুনের মামলা রুজু করেছে।

Advertisement

এ দিন সনত্‌বাবুর মৃত্যুর খবরে অচৈতন্য হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণাদেবী। পরে তিনি বলেন, “ভোরে কাজে বেরনোর সময় ও বলে গিয়েছিল তাড়াতাড়ি ফিরে আমাদের দাসপুরে মেলা দেখতে নিয়ে যাবে। আমার সব শেষ গেল।” সনত্‌বাবুর দুই মেয়ের একজনের বয়স ছয়, আর এক জনের তিন।

এ দিকে ঘটনার পরে অভিযুক্ত বিপ্লবকে ধরতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পুলিশকে। গোপালবাবুরা ভগ্নপ্রায় নাড়াজোল রাজবাড়িরই একটি অংশে থাকেন। পুলিশ দেখে বিপ্লব ছাদে উঠে পড়েন। সেখান থেকে তাঁকে নামাতে ঘণ্টা চারেক লেগে যায় পুলিশের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন