ক্যাম্পাসে অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না বলে দলের ছাত্র নেতাদের জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। নেতৃত্বের সাফ বার্তা, কেউ অন্যায় কিছু করলে দল তার দায় নেবে না। তাকে শাস্তি পেতেই হবে।
চলতি মাসের গোড়াতেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদে রদবদল হয়েছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই রদবদল। টিএমসিপির জেলা সভাপতি ছিলেন রমাপ্রসাদ গিরি। রমাপ্রসাদকে সরিয়ে টিএমসিপির জেলা সভাপতি করা হয়েছে দেবলীনা নন্দীকে। দেবলীনা টিএমসিপি কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। অন্য দিকে, রমাপ্রসাদকে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি করা হয়। আগে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি ছিলেন বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো। রদবদলের পরে শনিবারই টিএমসিপির প্রথম বৈঠক হয় মেদিনীপুর শহরে। শহরের ফেডারেশন হলে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়, বিধায়ক মৃগেন মাইতি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, পুরপ্রধান প্রণব বসু প্রমুখ। ছিলেন তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি নির্মল ঘোষ, আশিস চক্রবর্তীরা। টিএমসিপির ব্লক সভাপতি, কলেজ ইউনিটের সভাপতি, ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদকদেরই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। বৈঠক শেষে টিএমসিপির জেলা সভাপতি দেবলীনা নন্দী বলেন, “এটা সাংগঠনিক বৈঠক। সাংগঠনিক সভায় সংগঠনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সামনে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। নির্বাচনের জন্য সংগঠনের ব্লক নেতৃত্বকে প্রয়োজনীয় কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায় বলেন, “কলেজ ক্যাম্পাসে অশান্তি করা যাবে না। বিরোধীরা প্ররোচনা তৈরি করতে পারে। তবে সেই প্ররোচনায় পা দেওয়া যাবে না।” কেউ অন্যায় কিছু করলে দল তার দায় নেবে না, এ কথা জানানোর পাশাপাশি আগামী দিনে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করারও বার্তা দেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে ব্যাপক ভাবে জনসংযোগ ও ভাল ব্যবহার করার নির্দেশ দেন তাঁরা। বৈঠকে শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব এও মনে করিয়ে দেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শান্তি ও উন্নয়নের বার্তা ব্যাপক ভাবে ছাত্রছাত্রীদের কাছে তুলে ধরতে হবে। এ ক্ষেত্রে ছাত্র সংগঠনের একটা ভূমিকা রয়েছে। রাজ্য সরকারের জনকল্যাণমূলক কাজগুলো প্রচারের আলোয় আনার দায়িত্ব ছাত্র সংগঠনের কর্মীদেরও নিতে হবে। টিএমসিপির বৈঠকে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব বুঝিয়ে দেন, দলের রাজনৈতিক অবস্থান কি, আগামী দিনে দলের কর্মপন্থা কি হবে, দল কি ভাবে এগোবে। ছাত্র নেতাদের উদ্দেশে তাঁদের বার্তা, মানুষের কাছে এই সরকার মা- মাটি- মানুষের সরকার হিসেবে চিহ্ণিত হয়েছে। এখন থেকে মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে। এই সরকার কি কি করতে পেরেছে, তা জানাতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ড মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। ব্লকে ব্লকে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলা, বৈঠক করার জন্যও টিএমসিপির জেলা নেতৃত্বকে পরামর্শ দেন শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব।