সড়ক দুর্ঘটনায় বৈষ্ণবচক গ্রামপঞ্চায়েতের উপ-প্রধান হলধর মাইতি (৭০) মৃত্যুর জেরে মঙ্গলবার সকাল থেকে ওই রুটে দিনভর ট্রেকার ও অটো চলাচল বন্ধ থাকল। ফলে এ দিন সকাল থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগের শিকার হলেন নিত্যযাত্রীরা।
কোলাঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মানব সামন্ত ঘটনার কথা স্বীকার করে জানান, “বেপরোয়া গাড়ি চলাচলের জেরে প্রায়ই এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে। আর এরকমভাবেই সোমবারের দুর্ঘটনায় জেরে মৃত্যু হয়েছে হলধরবাবুর। বেপরোয়া চলাচলের জন্য এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ ছিলই। এ দিনের ঘটনা তারই প্রতিক্রিয়া।” তবে বুধবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলেই জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোলাঘাট-জশাড় রুটে কয়েক বছর আগেও বাস যাতায়াত করত। বাসে চেপে কোলাঘাটের বিভিন্ন এলাকার গ্রামের পাশাপাশি সংলগ্ন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এলাকার অনেক বাসিন্দা কোলাঘাট স্টেশন হয়ে কলকাতায় যাতায়াত করতেন। কিন্তু ক্রমে ওই রুটে প্রথমে ট্রেকার ও পরে মোটরচালিত ভ্যানের দাপটে বাস চালচল বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ওই রুটে প্রায় ৮০ টির বেশী মোটরচালিত ভ্যান, কয়েকটি ট্রেকার চলাচল করে।
কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মোটরচালিত ভ্যানগুলির মধ্যে রেষারেষির জেরে প্রায়ই দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। এ নিয়ে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ওইসব গাড়ির চালকরা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালায়। যার জেরে সোমবার সকালে কোলাঘাট বিডিও অফিস থেকে সামান্য দূরত্বে ছাতিন্দা মোড়ের বাঁকে হলধরবাবুর মোটরবাইকের সঙ্গে মোটরচালিত ভ্যানের ধাক্কায় ওই প্রবীণ রাজনীতিকের মৃত্যু হয়েছে। কোলাঘাটের জনপ্রিয় ওই তৃণমূল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। যার জেরে গতকাল দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা পথে নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। ওই বিক্ষোভের জেরে মঙ্গলবার মোটরচালিত ভ্যান ও ট্রেকার চালকরা এ দিন গাড়ি নিয়ে পথে নামেনি বলে জানা গিয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানান, ওইসব গাড়ি যাতে আবার আগের মতোই পথে নামে সেজন্য তাদের সঙ্গে আলোচনা চালানো হচ্ছে।