খড়্গপুরে ওয়ালিপুরে অটো চালকদের পথ অবরোধ।—নিজস্ব চিত্র।
খন্দপথে অটো চালাতে গিয়ে নিত্য সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। পঞ্চায়েত সমিতিকে জানিয়েও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে তাই অটো চলাচল বন্ধ রেখে পথ অবরোধ করলেন চালকেরা। বৃহস্পতিবার সকালে খড়্গপুর গ্রামীণ থানার লাল রোডের কাছে অবরোধে বসেন ৩০টি অটোর চালকেরা। তার জেরে সকাল থেকে টানা চার ঘন্টা অবরুদ্ধ হয়ে ছিল শহরের ইন্দা বিদ্যাসাগরপুর থেকে গ্রামীণের ওয়ালিপুর সড়ক। পরে অবরোধ তুলে নিলেও এ দিন ওয়ালিপুর থেকে শহরের নিউ সেটলমেন্ট রুটের কোনও অটো চলেনি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খড়গপুর শহরের ইন্দার ওটি রোড থেকে একটি সড়ক বিদ্যাসাগরপুর হয়ে ওয়ালিপুরের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই সড়কের উপরই নির্ভরশীল পীরবাবার চক, বিদ্যাসাগরপুর, লালরোড, ওয়ালিপুর-সহ বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা। তবে পুরসভার অধীনে থাকা লালরোড পর্যন্ত রাস্তার হাল বেশ খারাপ। ওই রাস্তায় তা-ও কোনওক্রমে অটো চলাচল করতে পারে। কিন্তু লালরোডের পর থেকে জাতীয় সড়ক পর্যন্ত খানাখন্দে ভরা পঞ্চায়েতের রাস্তা দিয়ে অটো চলাচলের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন যাত্রীরা। বেশ কয়েকবার অটো উল্টেও গিয়েছে। ওই সড়কে এ দিনও সকালে একটি অটো থেকে স্থানীয় এক কিশোর পড়ে গিয়ে সামান্য জখম হয়। কিন্তু বারবার জানিয়েও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় তেতে ওঠেন অটো চালকেরা। বেহাল সড়ক সংস্কারের দাবিতে অটো চলাচল বন্ধ রেখে শুরু হয় অবরোধ। দিনভর বন্ধ থাকে ৩০টি অটোর চলাচল।
ওই রুটের বিক্ষুব্ধ অটোচালক মহম্মদ সাদাব, গোপাল সাহা, শেখ রাজুরা জানালেন, তিন বছর ধরে এই সমস্যা চলছে। পঞ্চায়েত সমিতিকে বারবার জানানো হয়েছে। কিন্তু রাস্তা সংস্কার হয়নি। অটো চালকদের কথায়, “দুর্ঘটনা বাড়তে থাকায় জখম ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ আমাদেরই দিতে হয়। বাধ্য হয়েই এ দিন অটো বন্ধ করে পথ অবরোধ করছি।”
এ দিন দীর্ঘক্ষণ অবরোধ চলতে থাকায় স্থানীয়রা সমস্যায় পড়েন। ওই সড়ক ব্যবহারকারী রিকশা, ভ্যান, লরি, মোটর সাইকেল-সহ বেশ কিছু যানবাহন আটকে যায়। পরে মানুষের দুর্ভোগের কথা ভেবে অবরোধ তুলে নেওয়া হলেও এ দিনের মতো অটো চলবে না বলে জানিয়ে দেন অবরোধকারী চালকেরা। রাস্তা মেরামত না হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র লালরোড থেকে ওয়ালিপুর পর্যন্ত অটো না চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান শেখ সাদাব।
খড়্গপুর-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শক্তি মণ্ডলের স্বীকারোক্তি, “এখন আমাদের পঞ্চায়েত সমিতির তহবিলে টাকা নেই। তবে ওই সড়কের বিষয়টি মাথায় আছে। টাকা এলেই সংস্কার হবে।”