পুরভোটের আগে এসএফআইয়ের বহিষ্কৃত নেতা রাজীব মণ্ডলকে দলে নিল তৃণমূল। সোমবার ইন্দায় তৃণমূলের ২নম্বর ওয়ার্ড কমিটির কার্যালয়ে তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়। শুধু রাজীব নন, এ দিন আরও চার এসএফআই সমর্থক তৃণমূলে যোগ দেন। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শহর তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। দেবাশিস চৌধুরী বলেন, “রাজীব ভাল ছেলে। সিপিএম-এর বিচ্যুতি দেখে ও বেরিয়ে এসেছিল। আজকে আমরা ওঁকে দলে নিলাম।” তাঁর দাবি রবিবার সন্ধ্যায় শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৫ জন বিজেপি সমথর্কও যোগ দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, রাজীববাবু দীর্ঘদিন ধরেই সিপিএমের এই ছাত্র সংগঠনের শহর জোনালের সম্পাদক ছিলেন। আবার সিপিএম-এর সদস্যও ছিলেন তিনি। দিন কয়েক আগেই দল তাঁকে বহিষ্কার করে। রাজীব মণ্ডলের অবশ্য দাবি, তিনি নিজেই দল ছেড়েছেন। তাঁর অভিযোগ, “দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল ছিল। ইন্দা লোকাল কমিটির সম্মেলনে ভোটাভুটিতে একটি গোষ্ঠীকে সমর্থন করায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছিল। সেটা বুঝতে পেরে আমি আগেই দল থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলাম।”
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজ নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই রাজীব তৃণমূলের দিকে ঝুঁকেছিল বলে দলীয় নেতৃত্বের কাছে খবর ছিল। এমনকী এসএফআই সদস্যদের গোপনে টিএমসিপি-র বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্যও আবেদন জানাতেন। রাজীবের বিরুদ্ধে একযোগে অভিযোগ তুলেছে সিপিএম ও এসএফআই। এ দিন সিপিএমের শহর জোনাল সম্পাদক অনিতবরণ মণ্ডল বলেন, “অনেক আগেই দল বিরোধী কাজ ও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য রাজীবকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। রাজীব তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হল।” তবে পুরভোটের আগে তৃণমূল রাজীবকে নিয়ে ফায়দা তুলতে পারবে না বলে তাঁর দাবি।