শ্বশুরবাড়ি থেকে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল তমলুকে। মৃতার নাম লক্ষ্মী আদক (২২)। সোমবার সকালে তমলুক থানার নীলকুণ্ঠিইয়া এলাকার খামারচক গ্রামের ঘটনা। মৃতার বাপেরা বাড়ির লোকেরা শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে খুনের অভিয়োগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে লক্ষ্মীদেবীর স্বামী শান্তনু আদককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খামারচক গ্রামের বাসিন্দা শান্তনু কলকাতায় হোসিয়ারি কারখানায় কাজ করে। শান্তনুর সঙ্গে গ্রামেরই তরুণী লক্ষ্মী ধাড়ার প্রেম করে বছর দেড়েক আগে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরে লক্ষ্মীর বাপের বাড়ি থেকে জামাইকে কয়েক লক্ষ টাকা পণ হিসেবে দেওয়া হয়েছিল বলে মৃতার বাপের বাড়ির লোকেদের দাবি। তারপরও আরও টাকা চেয়ে লক্ষ্মীর উপর তাঁর শশুরবাড়ির লোকেরা অত্যচার চালাত বলে অভিযোগ। রবিবার রাতেও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সঙ্গে ওই গৃহবধূর বচসা হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে সোমবার সকালে শ্বশুরবাড়ির একটি ঘর থেকে লক্ষ্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। খবর পেয়ে তমলুক থানার পুলিশ গিয়ে ওই গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে। মৃতার বাবার অভিযোগ, ‘‘মেয়ের বিয়ের পণ বাবদ চার লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। আরও টাকা চেয়ে মেয়ের উপর শ্বশুর বাড়ির লোকেরা অত্যাচার করত। শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে।