শহরে খামারের উদ্বোধন।—নিজস্ব চিত্র।
নব সাজে রাজ্যের সব থেকে বড় মুরগি খামারের উদ্বোধন হল মেদিনীপুরে। শনিবার প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এর উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, তা করেন। শিলান্যাস করে ফেলে রাখা নয়, এখন সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হচ্ছে।”
অত্যাধুনিক ভাবে মুরগি খামারটিকে গড়ে তুলতে ব্যয় হয়েছে ৮ কোটি ৬৪ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা। ২০১২ সালের এপ্রিলে খামার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। নতুন এই খামারে সাড়ে ৪ হাজার মুরগি থাকবে। বছরে মুরগি ছানা মিলবে সাড়ে ৪ লক্ষ। ফলে, শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, খামার থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ আশপাশের জেলায় মুরগি ছানা সরবরাহ করা যাবে। নতুন খামারের পাশেই রয়েছে পুরনো খামার। এক সময় এখান থেকে যে সংখ্যক হাঁস-মুরগি ছানা মিলত, তা দিয়েই জেলার চাহিদা মিটে যেত। গত কয়েক বছর ধরেই অবশ্য অন্য পরিস্থিতি। সরকারি প্রকল্পগুলোর চাহিদা মেটাতে বাইরের জেলা থেকে ছানা আনা হচ্ছে। পুরনো খামারে পরিকাঠামোগত সমস্যার জেরে দিনে দিনে হাঁস-মুরগির সংখ্যাও কমছে। পরিস্থিতি দেখেই পুরনো খামারের পাশে নতুন খামার তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। সব মিলিয়ে ৪ একর জমির উপর নতুন খামারটি তৈরি হয়েছে।
শনিবারের অনুষ্ঠানে স্বপনবাবু দাবি করেন, তাঁর হাতে থাকা দু’টি দফতর ক্ষুদ্র শিল্প এবং প্রাণি সম্পদের মাধ্যমেই গ্রামীণ মানুষের কাছে অর্থনীতির দরজা খুলে যাচ্ছে, তৈরি হচ্ছে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র। তিনি বলেন, “বাংলায় প্রতিদিন ২ কোটি ২৫ লক্ষ ডিম প্রয়োজন। বাইরের রাজ্য থেকে ৯৫ লক্ষ ডিম আসে। না এলে চাহিদা মেটাতে পারব না। দুধেরও অপ্রতুলতা আছে। বিগত সরকার যা করে গিয়েছে, সবই লোকসান।” খামারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি, বিধায়ক মৃগেন মাইতি প্রমুখ। মৃগেনবাবুও বলেন, “জেলার অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা নেয় প্রাণিসম্পদ দফতর। হাঁস-মুরগি পালন করে অনেকেই স্বনির্ভর হতে পারেন।”