চরকার সংঘর্ষে অভিযুক্তদের নিয়ে বিড়ম্বনা

চরকায় সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে পুলিশের কাছে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, সেই তালিকায় নাম রয়েছে ঘাটালের সাংসদ অভিনেতা দীপক অধিকারী ওরফে দেবের জেঠা শক্তিপদ অধিকারীরও। অবশ্য পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেনি। অভিযুক্তদের তালিকায় দেবের জেঠার নাম থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েছে তৃণমূলের একাংশও। দলের এক জেলা নেতার কথায়, “এটা বাড়াবাড়ি হয়ে গেল!”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৪ ০১:৩৮
Share:

চরকায় সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে পুলিশের কাছে যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, সেই তালিকায় নাম রয়েছে ঘাটালের সাংসদ অভিনেতা দীপক অধিকারী ওরফে দেবের জেঠা শক্তিপদ অধিকারীরও। অবশ্য পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেনি। অভিযুক্তদের তালিকায় দেবের জেঠার নাম থাকায় বিড়ম্বনায় পড়েছে তৃণমূলের একাংশও। দলের এক জেলা নেতার কথায়, “এটা বাড়াবাড়ি হয়ে গেল!” বুধবার সকালে কেশপুরের চরকায় সিপিএম- তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয়ে শেখ ফিরোজ আলি নামে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার। তিনি তৃণমূলের আমড়াকুচি অঞ্চলের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন। গুরুতর জখম হন দুই সিপিএম কর্মী। সংঘর্ষের কারণ নিয়ে দু’দলের দু’রকম দাবি রয়েছে। সিপিএমের দাবি, পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে দেখে তৃণমূলের লোকজন গ্রাম আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল। সকালে তারা চরকার এদিকে- সেদিকে জমায়েতও করে। শুরুতে তৃণমূলের লোকেরাই দলের কর্মী- সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। স্থানীয় মানুষ ‘প্রতিরোধ’ করেন। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, এলাকা দখল করতে ঠাণ্ডা মাথায় পরিকল্পনা করেই দলের ওই কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। চরকায় বাড়ি এক সময়ের দাপুটে সিপিএম নেতা এন্তাজ আলির। ঘটনার পর এন্তাজ সহ ৭২ জন সিপিএম নেতা- কর্মী- সমর্থকের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ খুনের মামলাও রুজু করেছে। ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩০ জনকে। সিপিএমের কেশপুর জোনাল কমিটির সদস্য শক্তিপদবাবুর বাড়ি মহিষদায়। তিনি এখন অসুস্থ। চরকার সংঘর্ষের ঘটনায় তিনিও অভিযুক্ত হলেন কী ভাবে? তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি প্রদ্যোৎ ঘোষের জবাব, “অভিযোগপত্রে ঠিক কার কার নাম রয়েছে, জানি না। না- জেনে এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করব না।” অভিযুক্তদের তালিকায় যে তাঁর নামও রয়েছে, সেই খবর ইতিমধ্যে পৌঁছেছে শক্তিপদবাবুর কাছে। কী করে আপনার নাম এই মামলায় জড়ালো? অভিমানী শোনায় দেবের জ্যোঠুর গলা, “প্রশ্নের উত্তর তৃণমূলই দিতে পারবে। অবশ্য এ আর নতুন কী? এ ভাবেই তো চলছে! আমাদের বহু কর্মী- সমর্থকের নামে মিথ্যে মামলা হচ্ছে। আমি অসুস্থ। কোমরে বেল্ট, পায়ে বেল্ট, হাঁটতে পারছি না, আমি কি না জড়িত গোলমালে! কী আর বলব। যা হওয়ার হবে!” তাঁর কথায়, “মহিষদা থেকে চরকার দূরত্ব ১৪- ১৫ কিলোমিটার। এই শরীরে এতদূর গিয়ে গোলমালে জড়িয়েছি, এটা বিশ্বাসযোগ্য।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement