নতুন বছরের প্রথম দিনেই ৩৮ জন ঠিকাকর্মী ছাঁটাই হওয়ার জেরে শ্রমিক অসন্তোষে পুরোপুরি বন্ধ রইল উৎপাদন। বাজারে মন্দার কারণেই কর্মী কমানো হয়েছে বলে কারখানার তরফে জানানো হলেও কর্মীরা তা মানতে চাননি।
হলদিয়ার ওই ‘সিমলেস টিউব’ তৈরির কারখানায় দেড়শোরও বেশি ঠিকাকর্মী কাজ করেন। শনিবারই কারখানা কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা কিছু ‘বাড়তি কর্মী’কে আপাতত বাদ দিতে চান। সেই খবর জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কাজ হারানো ঠিকাকর্মীরা। পরে বাকি শ্রমিকরাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। কাজকর্ম শিকেয় ওঠে। পরে কারখানার ম্যানেজার বিনোদকুমার মিশ্র বলেন, “দু’তিন দিন দেখব। তার পরেও এ সব চলতে থাকলে কারখানা বন্ধ করে দেব।” গত নভেম্বরে কর্মীদের বিক্ষোভের জেরেই হলদিয়ার ম্যানেকসিয়া অ্যালুমিনিয়াম কারখানা বন্ধ করে দিয়েছিলেন মালিকপক্ষ। তা এখনও চালু হয়নি।
কেন ছাঁটাই করা হল কর্মীদের?
কারখানার ম্যানেজার বলেন, “ভিনদেশের পাইপ বাজারে ঢোকায় আমাদের উৎপাদিত পাইপের চাহিদা কমেছে। ফলে উৎপাদন কমাতে হয়েছে। তাই ঠিকাদারকে নোটিস দিয়ে ৩৮ জন কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে।” ওই কর্মীদের আইন অনুয়ায়ী বকেয়া মেটানোর আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। কিন্তু শ্রমিকেরা অনড়। আন্দোলনকারী ঠিকাকর্মী সঞ্জিত দাস, বিকাশচন্দ্র ঘোড়ইয়ের অভিযোগ, “এর আগেও নানা অজুহাতে অন্যায় ভাবে কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। আবার তা শুরু হল।” কাজহারাদের ফেরানোর দাবিতে কারখানা গেটের সামনে বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলে তাঁরা হুমকিও দেন। এই বিক্ষোভে কোনও সংগঠনের ব্যানার না থাকলেও এর পিছনে কারখানার আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত এক মাত্র ইউনিয়নের সমর্থন আছে বলে শ্রমিকদের একটি সূত্রের খবর। ওই ইউনিয়নের কারখানা ইউনিটের কার্যকরী সভাপতি শঙ্করপ্রসাদ জানা অবশ্য তা মানতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, “বিষয়টি নিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসব।”