জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি সমস্যা মানলেন মন্ত্রীও

বেশ কিছু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যে পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে, তা মানলেন নারী ও শিশু কল্যাণ তথা সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। এক প্রশাসনিক বৈঠক করতে সোমবার মেদিনীপুরে আসেন তিনি। তাঁর কথায়, “পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়েছে। মডেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নাঘর, শৌচাগার আলাদা থাকা উচিত। কিন্তু, আমরা চাইলেও তো করতে পারছি না। ভাড়া বাড়িতে এ সব করব কী ভাবে?”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৪ ০১:১৮
Share:

মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে বৈঠক। নিজস্ব চিত্র।

বেশ কিছু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে যে পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে, তা মানলেন নারী ও শিশু কল্যাণ তথা সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। এক প্রশাসনিক বৈঠক করতে সোমবার মেদিনীপুরে আসেন তিনি। তাঁর কথায়, “পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়েছে। মডেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে রান্নাঘর, শৌচাগার আলাদা থাকা উচিত। কিন্তু, আমরা চাইলেও তো করতে পারছি না। ভাড়া বাড়িতে এ সব করব কী ভাবে?” সঙ্গে তাঁর আশ্বাস, “তবু আমরা চেষ্টা করছি। কর্মীদের পোষাক দেওয়া হচ্ছে। এ জেলাতেও পোষাক আসবে। মাথাপিছু বরাদ্দও বাড়ানো হবে। মনে রাখতে হবে, এই কেন্দ্রগুলো তো শুধু খিচুড়ি খাওয়ানোর জন্য নয়, শিশুদের শিক্ষার জন্য, মায়েদের যত্ন নেওয়ার জন্যও।”

Advertisement

সোমবার দুপুরে মেদিনীপুর সার্কিট হাউসে এক প্রশাসনিক বৈঠক করেন মন্ত্রী। ছিলেন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা, জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, বিধায়ক মৃগেন মাইতি, শ্রীকান্ত মাহাতো প্রমুখ। খুব শীঘ্রই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের জন্য জেলায় কর্মী নিয়োগ হবে। এ দিন ডিস্ট্রিক্ট লেভেল সিলেকশন কমিটিরও বৈঠক হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৯টি ব্লক রয়েছে। এরমধ্যে একমাত্র খড়্গপুর- ২ ব্লকে কোনও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নেই। সপ্তাহ কয়েক আগেই জেলা পরিষদ সদস্য অজিত মাইতি ওই ব্লকে দ্রুত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চালুর আর্জি নিয়ে মন্ত্রীর দ্বারস্থ হন। এই ব্লকে ২৮৯টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি হওয়ার কথা। কোথায় কোথায় প্রস্তাবিত কেন্দ্রগুলো তৈরি হবে, তার একটি খসড়াও ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে।

জেলায় ৯ হাজারেরও বেশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে হাজার তিনেকের নিজস্ব ঘর রয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে ২ হাজারেরও বেশি কেন্দ্র অন্য সরকারি জায়গায় চলে। দেড় হাজারেরও বেশি কেন্দ্র বেসরকারি জায়গায় চলে। যেখানে মাথার উপর ছাদ নেই। এই পরিস্থিতিতে মাঝেমধ্যে সমস্যাও দেখা দেয়। কেন্দ্রগুলো নিয়ে মাঝেমধ্যে নানা অভিযোগ ওঠে। কোথাও কর্মীরা সময় মতো আসেন না, কোথাও বা নিম্ন মানের খাবার দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এখন সাধারণ শিশুদের জন্য মাথাপিছু ৪ টাকা, প্রসূতিদের জন্য ৫ টাকা এবং অপুষ্টিতে যারা ভুগছে, তাদের জন্য ৬ টাকা বরাদ্দ হয়। মন্ত্রী অবশ্য বলেন, “রাজ্য সরকার চাইছে বরাদ্দ বাড়ুক।” জানা গিয়েছে, পরবর্তী সময় ওই বরাদ্দ শিশুদের জন্য মাথাপিছু ৬ টাকা, প্রসূতিদের জন্য ৭ টাকা এবং অপুষ্টিতে যারা ভুগছে, তাদের জন্য ৯ টাকা করা হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement