জমি নিয়ে বিরোধ, হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল

জমি নিয়ে বিবাদের জেরে এক সিপিএম সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধর ও বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে চণ্ডীপুর থানার রামপুর গ্রামের ঘটনা। মারধরে আহত সিপিএম সমর্থক সুমিতি পণ্ডিত ও তাঁর বউমা বনশ্রী পণ্ডিতকে চণ্ডীপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে বনশ্রীদেবীকে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:২৯
Share:

জমি নিয়ে বিবাদের জেরে এক সিপিএম সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারধর ও বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে চণ্ডীপুর থানার রামপুর গ্রামের ঘটনা। মারধরে আহত সিপিএম সমর্থক সুমিতি পণ্ডিত ও তাঁর বউমা বনশ্রী পণ্ডিতকে চণ্ডীপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে বনশ্রীদেবীকে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। চণ্ডীপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সুমিতিদেবী তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য-সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

Advertisement

চণ্ডীপুর থানার বৃন্দাবনপুর-১ পঞ্চায়েত এলাকার রামপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমিতি পণ্ডিত পেশায় সব্জি ব্যবসায়ী। সুমিতিদেবীর পরিবার ওই গ্রামেরই পঞ্চায়েত সদস্য তপন পণ্ডিতের পরিবারের জমিতে প্রায় ৫০ ডেসিমেল জমিতে বর্গাদার হিসেবে চাষ করত। তবে ওই জমির মালিকানা নিয়ে সুমিতিদেবীর পরিবারের সঙ্গে তপনবাবুর পরিবারের বিরোধ চলছিল। অভিযোগ শুক্রবার ওই জমিতে তপনবাবুর পরিবারের লোকেরা বেশ কিছু দলীয় সমর্থকদের মেশিন নিয়ে মাটি কাটতে যায়। সেই সময় সুমিতিদেবীর পরিবারের লোকেরা ওই মাটি কাটার কাজে বাধা দিতে যায়। এরপরেই তপনবাবুর পরিবারের সঙ্গে থাকা লোকজন সুমিতিদেবী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মারধর করে ও কিছুটা দূরে বাড়ির রান্না করার কুঁড়ে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। স্থানীয় বাসিন্দারা সুমিতি ও বনশ্রীদেবীকে উদ্ধার করে চণ্ডীপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করে।

সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির অভিযোগ, “তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের পরিবারের জমিতে অনেক আগে থেকে বর্গাদার হিসেবে জমিতে চাষ করছিলেন দলীয় সমর্থক একটি পরিবার। কিন্তু ওই বর্গাদারকে উচ্ছেদ করার জন্য চেষ্টা করছে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য।” তৃণমূলের চণ্ডীপুর ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদ সদস্য অশ্বিনী দাস দাবি করেন, আমাদের দলের পঞ্চায়েত সদস্য তপন পণ্ডিতের ভাই স্বপনের নামে ওই জমির সমস্ত নথিপত্র রয়েছে। ওই জমিতে কাজের জন্য তপনবাবুর পরিবার এ দিন সেখানে গেলে তাঁদের উপর আক্রমণ চালায় সমিতিদেবীর পরিবারের লোক ও তাঁদের আত্মীয়রা। মারধর ও বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ মিথ্যা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন