‘প্রাণীমিত্র’ নিয়োগের জন্য পরীক্ষায় সফল প্রার্থীদের নাম থাকা সত্ত্বেও এক মহিলাকে নিয়োগ করতে না চাওয়ার অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের ব্লক প্রাণী সম্পদ দফতরের বিরুদ্ধে। নন্দকুমার ব্লকের কুমারচক এলাকার বাসিন্দা বন্দনা দিন্দা নামে ওই মহিলা সোমবার এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।
প্রাণী সম্পদ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ব-নিযুক্তি প্রকল্পে দফতরের তরফে প্রতিটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় দু’জন করে ‘প্রাণীমিত্র’ নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাণী সম্পদ দফতরের তরফে এইসব প্রাণীমিত্রদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। চুক্তির ভিত্তিতে ‘প্রাণীমিত্র’ নিয়োগের জন্য মাধ্যমিক উত্তীর্ণ মহিলা প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে পরীক্ষার পর সফল প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করা হয়। এজন্য জেলা স্তরে বাছাই কমিটি রয়েছে। এভাবে নন্দকুমার ব্লকের ১২ টি গ্রামপঞ্চায়েতের জন্য ২৪ জন সফল প্রার্থী বাছাই করে গত ২ ডিসেম্বর জেলা প্রাণী সম্পদ একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল।
বন্দনাদেবী জানান, প্রাণীসম্পদ দফতরের তরফে নন্দকুমার ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েতের মধ্যে কুমারচক এলাকায় ‘প্রাণীমিত্র’ নিয়োগের পরীক্ষায় যে দু’জন সফল হয়েছেন, তার মধ্যে তিনি রয়েছেন। এমনকি জেলা প্রাণী সম্পদ দফতর থেকে তাঁর নামের তালিকাও পাঠানো হয়েছে। বন্দনাদেবীর অভিযোগ, “নিয়মানুযায়ী আমি নন্দকুমার ব্লকের প্রাণী সম্পদ দফতরে গত বুধবার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় চুক্তির জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু ব্লক প্রাণীসম্পদ আধিকারিক জানান, আমাকে নিয়োগ করা যাবে না। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ রয়েছে।” এই ঘটনার পর বন্দনাদেবী নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও জেলাশাসকের কাছেও অভিযোগ জানান।
নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকুমার বেরা বলেন, “বন্দনাদেবী আমার কাছে এসে বিষয়টি জানিয়েছেন। প্রাণী সম্পদ দফতরের কাছে আমি এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।” বন্দনাদেবীকে ‘প্রাণীমিত্র’ হিসেবে নিয়োগে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে নন্দকুমার ব্লকের প্রাণী সম্পদ আধিকারিক অমৃতময় নায়েক বলেন, “‘প্রাণীমিত্র’ হিসেবে নিয়োগের জন্য আমার কাছে উনি এসেছিলেন কি না আমার মনে নেই। এ বিষয়ে যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলবেন।” পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক অন্তরা আচার্য বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করা হবে।”