ফের তোলাবাজির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। খড়্গপুরের এক ব্যবসায়ীর থেকে তোলা আদায়ের অভিযোগে সোমবার রাতে রেল হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা থেকে এস রাজু নামে এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজু রেল এলাকায় তৃণমূলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কার্যালয় দেখভাল করতেন।
গত কয়েক দিন ধরেই বিজয় রজক নামে ইমারতি সামগ্রী সরবরাহকারীর সঙ্গে গোলমাল চলছিল রাজুর। সোমবার খড়্গপুর টাউন থানায় রাজুর নামে তোলাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন বিজয়। এর পরেই পুলিশ ওই তৃণমূলকর্মীকে গ্রেফতার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের সাউথ সাইডের ২৭নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় এসডিপিও বাংলোর কাছে একটি রেল প্রকল্পের কাজ চলছে। সেখানে ইমারতি সরঞ্জাম সরবরাহ করছেন বিজয় রজক। কয়েকদিনই সে সব সামগ্রী নামাতে বাধা দিচ্ছিল একদল লোক। এর পরেই রাজু টাকার দাবি করে বলে অভিযোগ করেছেন বিজয়। তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে রফার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু দাবি মতো টাকা না পেয়ে ক্রমাগত কাজে বাধা দিচ্ছিল রাজু। সোমবার পুলিশে অভিযোগ জানান বিজয়।
এই ঘটনায় তৃণমূলের অভ্যন্তরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। দলের শহর সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী ও জেলা নেতা জহরলাল পালের মতবিরোধ শহরবাসীর অজানা নয়। ধৃত এস রাজু জহর পালের ঘনিষ্ঠ। জহরবাবুর দাবি, “রাজু কারও থেকে টাকা চাইতে পারে না। মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে।” যদিও তৃণমূলের শহর সভাপতি দেবাশিসবাবু বলেন, “তৃণমূলের প্রকৃত কোনও কর্মীর অসৎ কাজে যুক্ত থাকার কথা নয়। কী হয়েছে খোঁজ নেব।”
তৃণমূল নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ঠিকাদারের থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। অনেক সময় নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও দু’পক্ষকে থানায় বসে মীমাংসা করা হয় বলেও অভিযোগ। অবশ্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গোলমাল এড়াতে দাবি মতো টাকা দিয়ে দেন ব্যাবসায়ীরা। কিন্তু দাবি মতো টাকা দিতে না পারলেই কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। চাকরি দেওয়ার নাম করেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই শহরে। গত বছরের মার্চে ইন্দার বিদ্যাসাগরপুরে জয়দীপ ভট্টাচার্য নামে এক তৃণমূল নেতাকে প্রতারণার অভিযোগে ধরেছিল পুলিশ। ওই তৃণমূলকর্মী বুলবুলচটির অবসরপ্রাপ্ত রেলকর্মী সুধীরচন্দ্র মৈত্রের থেকে ১২লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ছিল। সমানে চলেছে এই প্রবণতা।