খড়্গপুরের বুলবুলচটি বিবেকানন্দপল্লির আলোকসজ্জা।—নিজস্ব চিত্র
আলোর উৎসবেও থিমের লড়াইয়ে একে অপরকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত হচ্ছে রেলশহরের ক্লাবগুলি। থিমের মণ্ডপ, প্রতিমা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তারকা সমাবেশ- বড় বাজেটের পুজোর সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে ছোট পুজো কমিটিগুলি।
খড়্গপুর শহরে বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষের বাস। গত কয়েক বছরে শহরে দুর্গাপুজোর মতো শুরু হয়েছে বড় বাজেটের কালীপুজোও। শহরের মালঞ্চ স্টার ইউনিটের পুজোয় এ বার দিন্নির অক্ষরধাম মন্দিরের ভক্তিদুয়ারের আদলে মণ্ডপ। ৩৮ তম বর্ষের এই পুজোয় এ বারের বাজেট ৮ লক্ষ টাকা। পুজো উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়েছে। শহরের ঝাপেটাপুর মোড়ে ইউথ সেন্টারের পুজোর এ বার ২১ তম বর্ষ। সাত লক্ষ টাকা বাজেটের পুজোর এবারের থিম ‘বাঁশের মেলা রঙের খেলা’। মণ্ডপে কুলো, বাঁশের ছাতা, চাঁচের উপর যামিনী রায়ের চিত্রকলা ফুটিয়ে তোলা হবে। তবে এখানকার প্রতিমা সাবেক। খড়্গপুরের খরিদা কুমোরপাড়া সারদাপল্লি সেবাসঙ্ঘের পঞ্চরূপের কালী প্রতিমার আরাধনা করা হয়। এখানে মহাকালী, রক্ষাকালী, শ্যামাকালী, শ্মশানকালী, নিত্যকালীর পুজো হয়। পুজোর চারদিনই হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ক্লাবের পক্ষে বিশ্বজিৎ যাদব বলেন, “আমরা শক্তির দেবীর পাঁচটি রূপ তুলে ধরতে চেয়েছি। পাশাপাশি, দুঃস্থ পড়ুয়াদের পুস্তক বিতরণও করা হবে।”
খড়্গপুর শহরের ইন্দা মোড়ের ইউথ কর্নার অ্যান্ড সেভেন স্টার ক্লাবের পুজোর থিম ‘প্রকৃতির রঙে উৎসব’। মন্দিরের আদলে মণ্ডপে শাল, তাল, খেজুর, বাঁশ, কেন্দু, মেহগনি, হোগলা পাতা, কাঠের ছিলকা, বাঁশের ছিলকা, নারকেল দড়ি ও চটের ব্যবহার হয়েছে। এখানে পুজো হবে ১৮ ফুটের থার্মোকলের শ্মশান কালী মূর্তির।
রেলশহরের আইআইটি সংলগ্ন তালবাগিচা বাজার সংলগ্ন সেভেন স্টার ক্লাবের মণ্ডপ দর্শকদের নজর কাড়ছে। ৬৫ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট মন্দিরের আদলে মণ্ডপে রয়েছে প্লাইয়ের ওপর পাটের কারুকার্য। ক্লাবের কর্মকর্তা পিঙ্কা দেবনাথ বলেন, “পুজো উপলক্ষে তিন দিন ধরেই চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।” তালবাগিচার হাসপাতাল ময়দানের ন্যাশনাল ইউথ ক্লাবের সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষের পুজোয় ওড়িশার শিব মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরিতে ব্যবহার হয়েছে আইসক্রিম কাঠি, পাটের দড়ি, কাঁচেরগুড়ো। জাঁকে পিছিয়ে নেই নিউ ট্রাফিকের রোডস্টার ক্লাব, সুভাষপল্লির প্রতিষ্ঠিত কালীমন্দির, বিদ্যাসাগরপুরের অঙ্কুশ ক্লাবের প্রতিষ্ঠিত কালীমন্দির ও বড়বাতির প্রতিষ্ঠিত কালীমন্দিরের পুজোও।