গৃহবধূকে গণধর্ষণে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে পাঁশকুড়া থানায় এসে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে সামিল হলেন রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলের নেতারা। শাসক ও বিরোধী উভয় পক্ষের নেতারাই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন। পাঁশকুড়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য তদন্ত চালানো হচ্ছে।
গত পয়লা ফেব্রুয়ারি বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল পাশের গ্রামের তিন যুবকের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত ওই গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ তিনজনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে স্কেচ আঁকানোর ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার ১০ দিন পরও অভিযুক্তদের কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ বাড়ে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকার বাসিন্দারা ‘নারী নিগ্রহ বিরোধী নাগরিক কমিটি’ গড়ে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি গ্রামবাসীরা অভিযুক্তদের ধরার দাবিতে মিছিল করে। কিন্তু অভিযুক্তরা ধরা পড়েনি।
ওই কমিটির ডাকে এলাকার মহিলা সহ কয়েক’শ গ্রামবাসী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটে নাগাদ পাঁশকুড়া পুরাতন বাজারে দুর্গামণ্ডপের সামনে জড়ো হয়ে সভা শুরু করে। এরপর বাজার এলাকা মিছিল করে থানার অফিসের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। বিকেল ৪ টা থেকে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত থানার সামনে বিক্ষোভের পর দুর্গামণ্ডপের সামনে সভা হয়। বক্তব্য রাখেন পাঁশকুড়ার প্রাক্তন বিধায়ক তথা সিপিআই নেতা চিত্তদাশ ঠাকুর, নির্মল বেরা, সিপিএম নেতা নারায়ণচন্দ্র করণ, এসইউসি নেতা সমরেশ মাইতি ও পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা শশাঙ্ক বেরা, প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শঙ্কর সামন্ত প্রমুখ।
স্মারকলিপি। ব্লক স্তরে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে প্রতিবন্ধকতা নির্ণয়ের ব্যবস্থার সরকারি নির্দেশ কার্যকর করা, প্রতিবন্ধীদের চলন সহায়ক সরঞ্জাম নিয়মিত প্রদান করা, পুনর্বাসনের জন্য এককালীন সরকারি বরাদ্দ অর্থ প্রদান করা-সহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে জেলাশাসককে স্মারকলিপি দিল পাঁশকুড়া প্রতিবন্ধী সহায়ক সমিতি।