নেমেছে পারদ, শেষ রবিবারে জমজমাট প্রচার

শনিবার সন্ধ্যার বৃষ্টিতে তাপমাত্রার পারদ অনেকটা নেমেছে। রবিবারের দুপুরে রোদটাও তেমন চড়া ছিল না। তাই ভোটের আগে শেষ রবিবারে জোরকদমে প্রচার করল ডান থেকে বাম সব পক্ষই। কোথাও পথসভা, তো কোথাও মিছিল-রবিবারের প্রচার ছিল জমজমাট। ঘাটালের বাম প্রার্থী সন্তোষ রাণা বলেন, “রোদটা একটু কম ছিল। তাতে কি?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৪ ০১:০৪
Share:

শনিবার সন্ধ্যার বৃষ্টিতে তাপমাত্রার পারদ অনেকটা নেমেছে। রবিবারের দুপুরে রোদটাও তেমন চড়া ছিল না। তাই ভোটের আগে শেষ রবিবারে জোরকদমে প্রচার করল ডান থেকে বাম সব পক্ষই।

Advertisement

কোথাও পথসভা, তো কোথাও মিছিল-রবিবারের প্রচার ছিল জমজমাট। ঘাটালের বাম প্রার্থী সন্তোষ রাণা বলেন, “রোদটা একটু কম ছিল। তাতে কি? রোদ গায়ে মেখেই তো এতদিন প্রচার করে এলাম। আর এ দিন আমার পিংলায় প্রচার- কর্মসূচি ছিল। কৃষি এলাকা। চাষিদের কাছে রবিবার-সোমবার সব এক! ছুটির দিন বলে কিছু থাকে না।” সন্তোষবাবু এ দিন সকালে কয়েকটি সাংগঠনিক বৈঠক করেন। বিকেলে মিছিল ও পথসভা করেন। দুজিপুর, ধনেশ্বরপুর-সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় প্রচার কর্মসূচি হয়।

মেদিনীপুরের বাম প্রার্থী প্রবোধ পণ্ডা এ দিন সকালে নারায়ণগড়ের বিভিন্ন গ্রামে প্রচার করেন। বিকেলে যান দাঁতনে। রোদটা চড়া ছিল না বলে কী প্রচারে সুবিধে হল? প্রবোধবাবু বলেন, “ভোটের সময় প্রচার কর্মসূচি করতেই হয়। রোদ কখনও কম, কখনও বেশি থাকবে। আমাদের সমস্ত রকম পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়।” মেদিনীপুরের কংগ্রেস প্রার্থী বিমল রাজের সমর্থনে বিকেলে মেদিনীপুর শহরে সাইকেল মিছিল করে ছাত্র পরিষদ। ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি মহম্মদ সইফুল বলছিলেন, “গত কয়েকদিন রোদটা যা চড়া ছিল। যেন দুপুরে ঘর ছেড়ে বেরোনোই দায়! এ দিন অবশ্য সেই হাঁসফাঁস গরম ছিল না।”

Advertisement

মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী সন্ধ্যা রায়ের সমর্থনে এ দিন দাঁতনের মন্দিরবাজার এলাকায় সভা হয়। সভায় সন্ধ্যাদেবী বলেন, “আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতে এসেছি। তবে মানুষকে আমি চিনি। যে প্রকৃত মানুষকে চেনে, সেই প্রকৃত রাজনীতিবিদ।” এ দিন বিকেলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় মিছিল হয়। শহরের তৃণমূল নেতা স্বপন পাল বলেন, “গত কয়েকদিন শুকনো গরমের দাপটে মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। রবিবারের আবহাওয়াটা অবশ্য অন্য রকম ছিল। ফলে, সুবিধেই হয়েছে।” মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী প্রভাকর তিওয়ারির সমর্থনেও এ দিন শহরে পথসভা হয়। বিজেপির শহর সভাপতি অরূপ দাস বলছিলেন, “গরমের দাপটে গত বেশ কয়েকদিন ধরেই মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। এ দিন অবশ্য বাতাস বয়েছে। মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।”

এ দিন খড়্গপুর শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ওল্ড সেটেলমেন্ট থেকে তৃণমূলের মিছিল বের হয়। নেতৃত্বে ছিলেন দেবাশিস চৌধুরী, কোকন সরকার প্রমুখ। মালঞ্চর লালবাংলো থেকে সূচনা হওয়া একটি পদযাত্রায় নেতৃত্বে দেন জহরলাল পাল। পদযাত্রাটি মালঞ্চ রোড ও খরিদা হয়ে শেষ হয় ধানসিংহ ময়দান সংলগ্ন বড়বাড়িতে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement