মহম্মদপুরে শুভেন্দুর প্রচার।—নিজস্ব চিত্র।
নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকার উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান তুলে ধরে দলমত নির্বিশেষে সকলের সমর্থন চাইলেন তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। মহম্মদপুরে নির্বাচনী সভার পরে শুভেন্দুবাবু এ দিন নন্দীগ্রামের সরবেড়িয়া গ্রামে প্রাক্তন সিপিআই বিধায়ক অসুস্থ মহম্মদ ইলিয়াসের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। প্রাক্তন বিধায়কের জন্য প্রয়োজনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন বলেও আশ্বাস দেন শুভেন্দু।
বুধবার সকালে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে নন্দীগ্রামের চৌরঙ্গীবাজার থেকে মহম্মদপুর হাইমাদ্রাসা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার পদযাত্রার পর ওই গ্রামে সভা করেন শুভেন্দুবাবু। সভায় বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরে সিপিএম হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের (এইচডিএ) পরিচালনা করেছে। সে সময় নন্দীগ্রামের মানুষের কাছ থেকে খাজনা আদায় করা হলেও উন্নয়নের কাজ করা হয়নি।” শুভেন্দু’র অভিযোগ, “২০০৯ সালে সাংসদ হওয়ার পরও আমাকে পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। কারণ, আমি সিপিএমের টিকিটে জেতা সাংসদ ছিলাম না।”
রাজ্যে পরিবর্তনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করেন। সে কথা উল্লেখ করে তমলুকের সাংসদ পদপ্রার্থী বলেন, “পর্ষদের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই এলাকায় নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেছি।” উন্নয়নের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি জানান, এইচডিএ-র তরফে গত দু’আড়াই বছরের মধ্যে নন্দীগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ৩০টি ঢালাই পাকা রাস্তা হয়েছে। নন্দীগ্রাম বাজার-সহ বিভিন্ন বাজারে আলোর ব্যবস্থা হয়েছে। নন্দীগ্রামের তেরপেখ্যা থেকে খেজুরিরর তল্লা পর্যন্ত হিজলি টাইডাল ক্যানেলের দীর্ঘ ১৯ কিলোমিটার অংশ সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে। নন্দীগ্রামের বিভিন্ন স্কুলের উন্নয়নে কাজ করা হয়েছে। নন্দীগ্রাম বাজার থেকে তেখালিগামী রাস্তা পর্যন্ত বাইপাস তৈরির ব্যবস্থা হয়েছে।
আগামী জুন মাসের মধ্যে নন্দীগ্রামের বাইপাসের কাজ সম্পূর্ণ করে চালু হয়ে যাবে বলে শুভেন্দু সভায় জানান। জেলিংহামে রেলের যন্ত্রাংশ কারখানা তৈরির প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দুবাবু এ দিন বলেন, “জেলিংহামে নতুন কারখানা করার প্রস্তাব আমরা দিয়েছিলাম। কিন্তু সব সিদ্ধান্ত হওয়া সত্বেও সেই কাজ শুরু হয়নি। আমরা সেই কাজ শুরু করে মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করব।”