নন্দীগ্রামের ঢঙে শুভেন্দু আন্দোলন চাইছেন হলদিয়াতেও

পৃথক হলদিয়া পোর্ট ট্রাস্ট গড়ার দাবিতে এ বার নন্দীগ্রামের ধাঁচে আন্দোলন করার বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার হলদিয়ায় এক সভায় তমলুকের বিদায়ী সাংসদ তথা এ বারের তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু বলেন, “হলদিয়া বন্দর বাঁচাতে নন্দীগ্রামের মতো দলীয় পতাকা সরিয়ে আন্দোলন করব।” রাজনৈতিক আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের থেকে হলদিয়া বন্দরকে আলাদা করার কোনও পরিকল্পনা আপাতত নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৩৪
Share:

মঙ্গলবার হলদিয়ার সভায় শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র।

পৃথক হলদিয়া পোর্ট ট্রাস্ট গড়ার দাবিতে এ বার নন্দীগ্রামের ধাঁচে আন্দোলন করার বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

মঙ্গলবার হলদিয়ায় এক সভায় তমলুকের বিদায়ী সাংসদ তথা এ বারের তৃণমূল প্রার্থী শুভেন্দু বলেন, “হলদিয়া বন্দর বাঁচাতে নন্দীগ্রামের মতো দলীয় পতাকা সরিয়ে আন্দোলন করব।” রাজনৈতিক আন্দোলন নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের থেকে হলদিয়া বন্দরকে আলাদা করার কোনও পরিকল্পনা আপাতত নেই।

তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত ‘হলদিয়া রিফাইনারি লেবার, কন্ট্রাকটার্স ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন’ বাংলা বছরের প্রথম দিনে ভোট প্রচারের জন্য আইওসি-র গেটের সামনে সভার আয়োজন করেছিল। সেখানেই এই মন্তব্য করেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের অন্যতম নেতা শুভেন্দুবাবু।

Advertisement

নন্দীগ্রামের মতো আন্দোলন মানে কি রাস্তা কেটে, পুলিশ-প্রশাসনকে আটকে রাখার কর্মসূচি? শুভেন্দু পরে অবশ্য দাবি করেন, “নন্দীগ্রামে জমিরক্ষার জন্য যেমন জাতি-ধর্ম-দল নির্বিশেষে মানুষ একজোট হয়েছিলেন, সে ভাবেই বন্দরের জন্য আন্দোলন হবে। কোনও ধ্বংসাত্মক পথে নয়।” দাবি আদায়ে জঙ্গি আন্দোলন যে বরদাস্ত করা হবে না, তা সভায় স্পষ্ট করে দেন তিনি।

২০০৯-এ প্রথম বার জিতে সংসদে যাওয়ার সময় থেকেই কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের আওতা থেকে হলদিয়া বন্দরকে বার করে আনার দাবিতে সরব হন শুভেন্দুবাবু। তাঁর যুক্তি, হলদিয়া বন্দরকে বাঁচাতে হলে বন্দরটিকে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের থেকে আলাদা করা জরুরি। ফের দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট। তার আগে পুরনো দাবি আরও এক বার উস্কে দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “শিল্পের জন্য এখানে কাঁচামালও নেই, বাজারও নেই। আছে বন্দর। তাই শুধু ড্রেজিং নয়, হলদিয়া বন্দরকে বাঁচাতে হলে দরকার এখানকার জন্য আলাদা পোর্ট ট্রাস্ট গঠন।”

হলদিয়া বন্দরের নাব্যতা কমতে কমতে এখন চার মিটারে এসে ঠেকেছে। ফলে, সেখানে কোনও বড় জাহাজ ঢুকতে পারছে না। নাব্যতার সমস্যা সমাধানে প্রথম থেকেই আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ড্রেজিংয়ের দাবি জানিয়েছেন বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ। শুভেন্দুবাবুর দাবি, অনেক লড়াইয়ের পরে কেন্দ্র হলদিয়া বন্দরে ড্রেজিংয়ের জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। তার পরেও কাজ এগোচ্ছে না। তাঁর ক্ষোভ, “হলদিয়া বন্দর যথেষ্ট লাভজনক। তবু তার সঙ্কট মেটাতে অর্থ ব্যয় না করে, সেই টাকায় কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের আধিকারিকদের বেতন, পেনশন ও অন্য সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। হলদিয়ায় আলাদা পোর্ট ট্রাস্ট হলে এখানকার সমস্যাই প্রাধান্য পাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন