তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন দলের সদস্যরাই। এমনটাই ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের পদুমপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে। গত সপ্তাহের বুধবার বিডিওকে লেখা চিঠিতে তৃণমূল সদস্য প্রদীপ দাস ও তপন বর্মণ অভিযোগ করেছেন, গত এক বছরে পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তা মেরামতি থেকে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে তাঁদের এলাকাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাঁরা বলেন, “এর প্রতিবাদ জানাতেই আমরা প্রধানের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহারের জন্য বিডিওকে চিঠি দিয়েছি।” চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসতেই চরম অস্বস্তিতে পড়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের ব্লক নেতা তথা তমলুক পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শেখ জালালুদ্দিন বলেন, “পদুমপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ও সদস্যদের মধ্যে মতপার্থক্য হয়েছিল। তা ঠিক। তবে সেটা মিটে গিয়েছে।” একই দাবি পঞ্চায়েত প্রধান ঝর্ণা রায়েরও।
প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পদুমপুরের ওই পঞ্চায়েতের ১৫ জন সদস্যের মধ্যে ৮ জন তৃণমূলের। বাকিরা বামেদের। গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতে প্রধান হন ঝর্ণা রায়। পঞ্চায়েত গঠনের পর থেকেই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই বিরোধ তৈরি হয় বলে অভিযোগ। যার পরিণতি প্রধানের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে দলের দুই সদস্যের চিঠি।
ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা সিপিএমের উত্তম পাল বলেন, “পঞ্চায়েত প্রধানের আনা অভিযোগগুলি ঠিক। উন্নয়ন নিয়ে যে দলবাজি হচ্ছে, তা ওই সদস্যদের চিঠিতেই প্রমাণিত।” তিনি জানান, তৃণমূল সদস্যদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে দলে আলোচনা করা হবে।