পুলিশি হেফাজত থেকে পালাল বন্দি

দিনদুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেল খুনের অভিযুক্ত এক বিচারাধীন বন্দি। মঙ্গলবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নয়াগ্রাম থানার খড়িকামাথানি চকের ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, কয়েক দিন আগে নয়াগ্রামের জামশোলা গ্রামের লাগোয়া পচাপানি জঙ্গল থেকে কোকি নায়েক নামে বছর উনিশের এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৫ ০০:৪৭
Share:

দিনদুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় পুলিশের হেফাজত থেকে পালিয়ে গেল খুনের অভিযুক্ত এক বিচারাধীন বন্দি। মঙ্গলবার সকালে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নয়াগ্রাম থানার খড়িকামাথানি চকের ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, কয়েক দিন আগে নয়াগ্রামের জামশোলা গ্রামের লাগোয়া পচাপানি জঙ্গল থেকে কোকি নায়েক নামে বছর উনিশের এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তের সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, ওই তরুণীকে অপহরণের পরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২১ মে জামশোলা গ্রামেরই যুবক বছর একুশের কৃষ্ণপদ ভক্তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২২ মে ধৃতকে ঝাড়গ্রাম দ্বিতীয় এসিজেএম আদালতে তোলা হলে তদন্তের স্বার্থে তাঁকে চার দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ হয়।

Advertisement

পুলিশ হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মঙ্গলবার কৃষ্ণকে আদালতে হাজির করানোর ধার্য দিন ছিল। এ জন্য সাত সকালে অভিযুক্তকে নয়াগ্রাম থানার পুলিশ কর্মীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য পুলিশের গাড়িতে করে স্থানীয় খড়িকামাথানি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর পরে কৃষ্ণকে নিয়ে দু’জন জুনিয়র কনস্টেবল খড়িকামাথানি চকে ঝাড়গ্রামের বাস ধরার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। বাসে ওঠার আগেই আচমকা ওই বন্দি হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় দুই পুলিশ কর্মীকে ধাক্কা মেরে মরাপাদা জঙ্গলের দিকে চম্পট দেন। সাত সকালে খড়িকামাথানি চকে লোকজন কম থাকায় সহজেই পালিয়ে যান ওই বন্দি। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, মাওবাদী প্রভাবিত জঙ্গলমহলে পুলিশের গাড়ি থাকা সত্ত্বেও কেন ওই বিচারাধীন বন্দিকে যাত্রীবাহী বাসে করে ঝাড়গ্রাম পাঠানো হচ্ছিল। ফোন ধরেন নি ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার ভারপ্রাপ্ত এসপি ভারতী ঘোষ। জবাব আসে নি এসএমএসেরও। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে নয়াগ্রাম থানার পুলিশের তরফে এভাবেই যাত্রীবাহী বাসে করে ধৃত ও বিচারাধীন বন্দিদের থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।

এদিন পলাতক বন্দির খোঁজে নয়াগ্রামের মরাপাদা ও শিয়ালিয়ার জঙ্গলে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। রাত পর্যন্ত কৃষ্ণপদর খোঁজ মেলে নি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন