পুলিশকর্মীর মেয়ে নিখোঁজ ঝাড়গ্রামে

মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের কয়েকদিন আগে বাবাকে এসএমএস করে বছর ষোলোর মেঘা জানিয়েছিল, মন ভাল নেই। ঝাড়গ্রামের বাইরে কোথাও হস্টেলে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পড়তে চায় বলেও লিখেছিল সে। সেই মেঘারই খোঁজ নেই সোমবার থেকে। কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে সে। রেখে গিয়েছে মোবাইল। মেঘার বাবা তরুণকান্তি দাস গোপীবল্লভপুর থানার পুলিশ কর্মী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৪ ০১:৩৭
Share:

মেঘা দাস। —নিজস্ব চিত্র।

মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের কয়েকদিন আগে বাবাকে এসএমএস করে বছর ষোলোর মেঘা জানিয়েছিল, মন ভাল নেই। ঝাড়গ্রামের বাইরে কোথাও হস্টেলে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পড়তে চায় বলেও লিখেছিল সে। সেই মেঘারই খোঁজ নেই সোমবার থেকে। কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছে সে। রেখে গিয়েছে মোবাইল।

Advertisement

মেঘার বাবা তরুণকান্তি দাস গোপীবল্লভপুর থানার পুলিশ কর্মী। তিনি গোপীবল্লভপুরেই থাকেন। তবে তাঁর স্ত্রী মীরাদেবী মেয়ে মেঘাকে নিয়ে ঝাড়গ্রাম শহরের ঘোড়াধরায় একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। সপ্তাহে একদিন স্ত্রী ও মেয়ের কাছে আসতেন তরুণবাবু। অরণ্যশহরের সরকারি মেয়েদের স্কুল রানি বিনোদ মঞ্জরী রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়ে পড়ত ওই ছাত্রী। এ বছরই ৫৯১ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে সে। মেয়ে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছেন মেঘার বাবা-মা। মীরাদেবী ডায়াবেটিস্-এ আক্রান্ত। বেশির ভাগ সময়েই অসুস্থ থাকেন। তিনি বলেন, “রবিবার রাতে খাওয়া-দাওয়ার পরে নিজের ঘরে শুতে যায় মেঘা। রাত তিনটে নাগাদ আমার ঠান্ডা লাগছিল বলে ওকে ডেকে আমার ঘরের এসি বন্ধ করতে বলি। তা করে নিজের ঘরে চলে গিয়েছিল মেঘা। সেই ওর সঙ্গে শেষ দেখা।” আর তরুণবাবুর বক্তব্য, “মেয়ে আমার খুব আবেগপ্রবণ। মন খরাপ হলে কারও সঙ্গে কথা বলত না। ওর মায়ের অসুস্থতার বিষয়টাও মেনে নিতে পারত না। হয়তো অবসাদে ভুগছিল। কিন্তু সেটা বুঝতে পারিনি।”

তরুণবাবুর আদি বাড়ি মধ্যমগ্রামে। কর্মসূত্রে কুড়ি বছর ধরে ঝাড়গ্রামে আছেন তিনি। দাস পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ পরিচারিকা এসে দেখেন ফ্ল্যাটের দরজা হাট করে খোলা। মীরাদেবী প্রথমে ভেবেছিলেন, মেয়ে আশেপাশে কোথাও গিয়েছে। কিন্তু বেলা বাড়লেও মেয়ে না ফেরায় মীরাদেবী খবর দেন স্বামীকে। গোপীবল্লভপুর থেকে চলে আসেন তরুণবাবু। কিন্তু বহু খোঁজাখুঁজি করেও মেয়ের সন্ধান পাননি। শেষে সোমবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তিনি। তবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মেঘার কোনও খোঁজ মেলেনি॥

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মেঘার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি ‘ডিস্ট্রিক্ট মিসিং পার্সনস্ স্কোয়াডে’ জানানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন