হলদিয়ার পাইপ কারখানা

বৈঠকের পরও কাটল না জট

শ্রম দফতরে ত্রি-পাক্ষিক বৈঠকের পরও জট কাটল না হলদিয়ার ‘লালবাবা সিমলেস’ পাইপ তৈরির কারখানায়। বুধবার হলদিয়ার সহ শ্রম কমিশনার গোপাল বিশ্বাস মালিকপক্ষ ও আন্দোলনকারী ঠিকা শ্রমিকদের নিয়ে আলাদা ভাবে বৈঠক করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:১৭
Share:

শ্রম দফতরে ত্রি-পাক্ষিক বৈঠকের পরও জট কাটল না হলদিয়ার ‘লালবাবা সিমলেস’ পাইপ তৈরির কারখানায়। বুধবার হলদিয়ার সহ শ্রম কমিশনার গোপাল বিশ্বাস মালিকপক্ষ ও আন্দোলনকারী ঠিকা শ্রমিকদের নিয়ে আলাদা ভাবে বৈঠক করেন। পরে সহ শ্রম কমিশনার গোপাল বিশ্বাস বলেন, “এ দিনের আলোচনায় সমস্যার সমাধান হয়নি। ফের দু’পক্ষকে নিয়ে বসা হবে।” ফের কবে বৈঠক হবে, স্পষ্ট করেননি তিনি।

Advertisement

এ দিন তিনি ওই কারখানার মালিকপক্ষ ও আন্দোলনকারী ঠিকা শ্রমিকদের নিয়ে আলাদা ভাবে বৈঠক করেন। প্রথম মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়। মালিকপক্ষ জানিয়ে দেন, কারখানায় কাজ কম থাকায় তারা ঠিকাদারদের নোটিস দিয়ে তবেই ৩৮ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন। ছাঁটাই কর্মীদের ছাড়াই কারখানা চালাতে চান। অন্যথায় তাঁরা কারখানা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন।

অন্য দিকে, ছাঁটাই ঠিকা কর্মীরা জানান, কারখানা কর্তৃপক্ষ অন্যায় ভাবে তাঁদের কাজ থেকে বসিয়ে দিয়েছেন। আগে তাঁদের কাজে ফেরাতে হবে। তারপরে ‘লাস্ট কাম ফার্স্ট গো’ এই নিয়মের ভিত্তিতে নোটিস দিয়ে ছাঁটাই করতে হবে। তাঁদের ছাঁটাই বেনিফিট দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন ঠিকা শ্রমিকেরা। অন্যথায় আন্দোলন চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। দুপুরের বৈঠক শেষে বিকালে ফের শ্রম দফতর মালিক পক্ষকে বৈঠকে ডাকে। তারপরেও জট কাটেনি। এ দিকে আন্দোলনের জেরে এ দিনও ওই কারখানায় উত্‌পাদন বন্ধ থাকে বলে মালিকপক্ষ জানিয়েছেন।

Advertisement

ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের পক্ষে বিকাশ ঘোড়ই বলেন, “আমরা শ্রম দফতরকে জানিয়েছি, নিয়ম না মেনে ছাঁটাই করা হয়েছে। তাই কাজে ফেরাতে হবে। আর যদি একান্তই ছাঁটাই করতে হয় তা হলে লাস্ট কাম ফার্স্ট গো এই নিয়ম মানতে হবে।” অন্যথায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলবে বলে এ দিনও তাঁরা স্পষ্ট করেছেন। তাঁরা দাবি করেন, কারখানার গেটে কাউকে আটকানো হচ্ছে না। ঠিকা কর্মীরা আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েই নিজে থেকে কারখানায় যাচ্ছেন না।

অন্য দিকে, কারখানার ম্যানেজার বিনোদকুমার মিশ্র বলেন, “বাজার মন্দা চলার কারণে কারখানায় কাজ কম রয়েছে। তাই নোটিস দিয়ে কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছিল।” তিনি আরও বলেন, “কর্মী ছাঁটাই শুধু লাস্ট কাম ফার্স্ট গো এই নিয়মের উপর নির্ভর করে না। কর্মীদের বয়স, কাজের দক্ষতা-সহ অন্য বিষয়গুলিও দেখতে হয়। তাই আমরা বলেছি ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের আর কাজে ফেরানো যাবে না।” এ ভাবে চলতে থাকলে কারখানা বন্ধ করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না, এ দিন ফের তা স্পষ্ট করেছেন ম্যানেজার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন