বান্ধবীর চক্রান্তে খুন হওয়া এক কিশোরীর বাবা ও মাকে এ বার পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি পটাশপুর থানা এলাকার পটাশপুর-২ ব্লকের পঁচেট গ্রাম পঞ্চায়েতের কোটবাড় গ্রামের। পুলিশ জানিয়েছে, এলাকার একটি বাড়িতে আগুন লাগানোর অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালের ১১ অক্টোবর পটাশপুরের কোটবাড় গ্রাম থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় দশম শ্রেণির এখ ছাত্রী। পরদিন সকালে তার দেহ উদ্ধার হয়। মেয়েকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন বাবা। তদন্ত চালিয়ে পুলিশ শেখ রফিজুল, শেখ উকিল আলি ও বিশু ঘড়াই নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করা হয় ওই কিশোরীর বান্ধবীকেও। পুলিশের দাবি, ওই কিশোরী জেরায় জানিয়েছিল, বান্ধবীর দাদাকে সে পছন্দ করত। কিন্তু বান্ধবীর দাদা তার প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় ওই কিশোরী তার বর্তমান প্রেমিককে দিয়েই বান্ধবীকে খুন করে প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিল। মামলাটি এখনও আদালতে বিচারাধীন।
এ দিকে রবিবার রাতে আগুনে পুড়ে যায় মৃত ওই কিশোরীর বাড়ি। আর এই ঘটনায় অভিযোগের তীর মৃত কিশোরীর বান্ধবীর পরিবারের দিকেই। মৃত কিশোরীর মায়ের অভিযোগ, ‘‘আমার মেয়ে মারা যাওয়ার পর থেকেই ওর বান্ধবীর পরিবার থেকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। আমরা কিছুতেই রাজি না হওয়ায় এমন করা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, গত ছ’ মাস ধরে তাঁরা এগরায় ছিলেন। তবে অনুষ্ঠানের জন্যই গ্রামে ফেরেন তাঁরা। এর মধ্যেই রবিবার রাতে এমন ঘটনা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত কিশোরীর বাবা বলেন, ‘‘অভিযোগ মিথ্যা। আমাদের পরিবারের কেউ এই কাজ করেননি। আসলে ওরা আমার মেয়ের জামিন আটকাতেই এমন কাজ নিজেরাই করেছে। আদালতের বিচারে আমার মেয়ে দোষী প্রমাণিত হলে তার শাস্তি হবেই। কিন্তু ওরা যেভাবে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে জামিন আটকাবার চেষ্টা করছে সেটা অন্যায়।’’