বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে শুনানি শালবনিতে

আকরিক লোহার জন্য ইস্পাত কারখানার কাজ পিছিয়ে গেলেও বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির ক্ষেত্রে দ্রুত গতিতেই এগিয়ে চলেছে জিন্দল গোষ্ঠী। শালবনির প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানার ভেতরেই হবে বিদ্যুৎ প্রকল্পটি। বিদ্যুৎ প্রকল্প হলেও এলাকায় যে দূষণ হবে না তা বোঝাতেই মঙ্গলবার এক শুনানির আয়োজন করা হয়েছিল। শুনানি হয় শালবনি কমিউনিটি হলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৪ ০১:৪৪
Share:

আকরিক লোহার জন্য ইস্পাত কারখানার কাজ পিছিয়ে গেলেও বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির ক্ষেত্রে দ্রুত গতিতেই এগিয়ে চলেছে জিন্দল গোষ্ঠী। শালবনির প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানার ভেতরেই হবে বিদ্যুৎ প্রকল্পটি। বিদ্যুৎ প্রকল্প হলেও এলাকায় যে দূষণ হবে না তা বোঝাতেই মঙ্গলবার এক শুনানির আয়োজন করা হয়েছিল। শুনানি হয় শালবনি কমিউনিটি হলে।

Advertisement

ল্যান্ড লুজার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পরিষ্কার মাহাতো শুনানিতে প্রশ্ন তোলেন, “হবে হবে বলে তো কয়েক বছর গড়িয়ে গেল। এভাবে আর কতদিন জমি দাতাদের বসে থাকতে হবে। কবে তাঁরা চাকরি পাবেন।” শালবনি প্রকল্পের ইনচার্জ অলোক ভট্টাচার্য বলেন, “আকরিক লোহা না মেলায় ইস্পাত কারখানা চালু করা যাচ্ছে না। আকরিক লোহার জন্য চেষ্টা চলছে। রাজ্য সরকারও এ ব্যাপারে সাহায্য করছে। ৪৯৩ জন জমিদাতার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩৯ জন কাজ পেয়েছেন। প্রকল্প চালু হলে বাকিদেরও কাজ দেওয়া হবে।” তবে তার আগেই বিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করার জন্য পদক্ষেপ করছে জেএসডব্লু। অলোকবাবুর দাবি, “অত্যাধুনিক প্রকল্প হবে। যাতে দূষণের সম্ভাবনা নেই। আর তা থেকে যা ছাই বেরোবে তার ৫০ শতাংশই কিনে নেবে স্থানীয় সিমেন্ট তৈরির কারখানা। বাকি ৫০ শতাংশ রাস্তা তৈরি-সহ অন্য কাজের জন্য দেওয়া হবে।”

৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে এই প্রকল্প থেকে। বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হলেই দূষণের আশঙ্কা থাকেই। এখানে বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে কতটা দূষণ হতে পারে, সে ব্যাপারে স্থানীয় মানুষের মতামত জানতেই শুনানির আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন অলোক ভট্টাচার্য, অতিরিক্ত জেলসাশাসক (সাধারণ) আর অর্জুন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ইঞ্জিনিয়ার কূণাল সাউ। স্থানীয় বাসিন্দা সলিল সাহা প্রশ্ন তোলেন, “বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে তো দূষণ ছড়াবেই। যাতে জঙ্গলের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হবে। স্বাভাবিকভাবে যে ছাই তৈরি হত, জঙ্গলমহলের মানুষ সেই ছাই বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতেন, সেটা বন্ধ হয়ে যাবে।” যদিও জেএসডব্লু কর্তৃপক্ষের দাবি, এটা এতটাই অত্যাধুনিক হবে যে চারিদিকে ১০ কিলোমিটার জুড়ে মানুষ ধোঁয়াও পাবেন না।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন