তমলুকে বিজেপি প্রার্থী বাদশা আলমের প্রচার।
ভোট প্রচারে এসে নন্দীগ্রামকেই হাতিয়ার করলেন তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বাদশা আলম।
বুধবার তমলুক শহরের এক প্রেক্ষাগৃহে কর্মীসভা করে প্রচার শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি বাদশা আলম। এ দিন দলের কর্মীসভায় রাজ্যের তৃণমূল সরকারের পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনা করেন বাদশা। নন্দীগ্রামে জমিরক্ষা আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু’র প্রতিপক্ষ অভিযোগ করেন, “নন্দীগ্রামের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বেইমানি করেছে তৃণমূল। যে সব পুলিশ অফিসার গুলি চালিয়ে নন্দীগ্রামের মানুষকে হত্যা করল রাজ্যের তৃণমূল সরকার তাঁদের পদোন্নতি করছে। পুরস্কার দিচ্ছে।” তাঁর কথায়, “ওই সব পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে যাতে সিবিআই তদন্ত না হয়, সে জন্য বর্তমান সরকার তদন্তের অনুমতি দেয়নি। এর চেয়ে বড় অন্যায়, বেইমানি আর কি হতে পারে!”
কর্মীসভায় বাদশা অভিযোগ করেন, “জমিরক্ষা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু তা প্রত্যাহার করা হয়নি। এ জন্য তৃণমূলকে জবাবদিহি করতে হবে।” নন্দীগ্রাম পর্বের সময় আন্দোলনের জন্য তাঁকে জেলে কাটাতে হয়েছে বলে দাবি করে বাদশা এ দিন বলেন, “আন্দোলনের সময় আমি বারংবার নন্দীগ্রামে গিয়েছি। আন্দোলনের জন্য আমাকে ১০ দিন তমলুক জেলে কাটাতে হয়েছে।”
বিজেপি প্রার্থী হলেও, রাজনৈতিক শিষ্টাচারের জন্য মঙ্গলবার তিনি জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর কাছে আশীর্বাদ চাইতে গিয়েছিলেন বলে এ দিন কর্মীসভায় দাবি করেন বাদশা। কিন্তু পরে সাংবাদিকদের কাছে ওই সৌজন্য সাক্ষাত শিশিরবাবু অস্বীকার করেছেন অভিযোগ করেন বাদশা। তাঁর কটাক্ষ, “আসলে উনি ভয় পেয়েছেন।” শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনা করে এ দিন বাদশা বলেন, “কাঁথিতে সারদা ২১ তলা বাড়ি তৈরি করবে জানিয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। কাঁথিতে এখন সেই বাড়ি হচ্ছে। আর এখন তৃণমূল নেতারা বলছেন সারদাকে চিনি না। এটা হয়!”
দিল্লিতে তৃণমূলের নেতৃত্বে ফেডারেল ফ্রন্টের সরকার গড়ার দাবিকে কটাক্ষ করে এ দিন বিজেপির প্রার্থী বলেন, “দিল্লিতে সিপিএম, তৃণমূল কেউই সরকার গড়তে পারবে না। এ বার বিজেপি তিনশোর বেশি আসন নিয়ে সরকার গড়বে।” এ দিন সকালে কর্মীসভার পর তমলুক শহরে পদযাত্রা করেন বাদশা।