বধূর অপমৃত্যু, ধৃত স্বামী ও শাশুড়ি

বিয়ের মাত্র দু’মাসের মধ্যে এক তরুণী বধূর অপমৃত্যুর ঘটনায় স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে ঝাড়গ্রামের সুয়াবাসা গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে নমিতা ঘোষ (২১) নামে ওই বধূটিকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি। বৃহস্পতিবার ভোরে শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই দেহটি ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৫ ০০:৩২
Share:

বিয়ের মাত্র দু’মাসের মধ্যে এক তরুণী বধূর অপমৃত্যুর ঘটনায় স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার রাতে ঝাড়গ্রামের সুয়াবাসা গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে নমিতা ঘোষ (২১) নামে ওই বধূটিকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বলে শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি। বৃহস্পতিবার ভোরে শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই দেহটি ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিত্‌সকরা নমিতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নমিতার বাবা বিনপুরের ভাদরা গ্রামের বাসিন্দা শঙ্কর সিংহ এ দিন ঝাড়গ্রাম থানায় নমিতার স্বামী বিদ্যুত্‌ ঘোষ, শাশুড়ি পার্বতী ঘোষ ও দেওর শিবা ঘোষের বিরুদ্ধে পণের দাবিতে তাঁর মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে এদিনই নমিতার স্বামী বিদ্যুত্‌ ঘোষ ও শাশুড়ি পার্বতী ঘোষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের আজ, শুক্রবার ঝাড়গ্রাম আদালতে তোলা হবে। পুলিশ জানিয়েছে, নমিতার দেওর শিবা পলাতক। জানা গিয়েছে, গত মে মাসে সুয়াবাসা গ্রামের বিদ্যুত্‌ ঘোষের সঙ্গে নমিতার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা পণের দাবিতে রীতিমতো নমিতার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে বলে অভিযোগ। নমিতার বাবা শঙ্কবাবুর অভিযোগ, “বিয়ের পর থেকেই নমিতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পণের দাবিতে চাপ দিতে থাকেন। পণের দাবিতে মেয়ের উপর অত্যাচার শুরু করে শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। আমার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন