বহিরাগত নয়, ভূমিপুত্রকে জেতানোর ডাক কংগ্রেসের

দোরগোড়ায় ভোট। তারই প্রস্তুতিতে রবিবার রেলশহরে কর্মী সম্মেলন করল কংগ্রেস। এ দিন খড়্গপুরের গোলবাজারের রামমন্দিরে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিমল রাজের সমর্থনে ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ বিধায়ক জ্ঞানসিংহ সোহন পাল (চাচা), কংগ্রেস জেলা সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির অন্যতম সচিব রবিশঙ্কর পাণ্ডে, শহর সভাপতি অমল দাস প্রমুখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০১৪ ০২:২২
Share:

দোরগোড়ায় ভোট। তারই প্রস্তুতিতে রবিবার রেলশহরে কর্মী সম্মেলন করল কংগ্রেস। এ দিন খড়্গপুরের গোলবাজারের রামমন্দিরে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বিমল রাজের সমর্থনে ওই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ বিধায়ক জ্ঞানসিংহ সোহন পাল (চাচা), কংগ্রেস জেলা সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির অন্যতম সচিব রবিশঙ্কর পাণ্ডে, শহর সভাপতি অমল দাস প্রমুখ।

Advertisement

সম্মেলনে জ্ঞান সিংহ সোহন পাল বলেন, “গত দশ বছর দেশে কংগ্রেস যে উন্নয়ন করেছে, আর আগামী দিনেও যা করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। তা মানুষের গ্রহণ করা উচিত কিনা? উচিত মনে করলে কংগ্রেসের হাত শক্ত করুন।” এ দিন তিনি দলীয় কর্মীদের রেলশহরের মানুষের ধারাবাহিকভাবে কংগ্রেসের পাশে থাকার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন।

কংগ্রেসের ‘গড়’ বলে পরিচিত রেলশহরের সম্মেলনে প্রদেশ কমিটির সদস্য রবিশঙ্কর পান্ডে বলেন, “নরেন্দ্র মোদী তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে দু’তিনটি শিল্প গড়া ছাড়া গুজরাতের আর কিছুই উন্নয়ন করেননি। আর তাঁকে নিয়েই প্রচারের অন্ত নেই।” মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “মেদিনীপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রভাকর তিওয়ারি কলকাতার বাসিন্দা। আর এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সন্ধ্যা রায়ও এক জন অভিনেত্রী। এই দুই দল এখানে কোনও প্রার্থী খুঁজে পায়নি। তাই অন্য জায়গা থেকে প্রার্থী আনতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের প্রার্থী বিমল রাজ ভূমিপুত্র।”

Advertisement

কংগ্রেসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় আহ্বান জানিয়ে প্রার্থী বিমল রাজ বলেন, “কংগ্রেস ১২৭ বছর ধরে দেশের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতার জন্য লড়ছে। তাই আমাকে নয়, কংগ্রেসের ইতিহাস দেখে দলকে ভোট দিন।” এ দিন দলের তরফে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে জোর দেওয়া হয়। প্রচারে কর্মীরা যাতে কোনও ফাঁকি দিতে না পারে সেজন্য নজরদারি চালানো হবে বলেও এ দিন জানানো হয়। শহর সভাপতি অমল দাস বলেন, “প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে বুথ স্লিপ দিতে হবে। অর্ধেক বাড়িতে না গিয়েই বুথ স্লিপ দেওয়া হয়েছে অথবা সরকারি অফিস থেকে দেওয়া হয়েছে বললে হবে না।” সভা শেষে গোলবাজারে মিছিলও করেন কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা।

এ দিন জেলা সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প নগরপালিকা বিল ও পঞ্চায়েত বিল কার্যকরী হচ্ছে। তাই প্রতিটি কর্মিসভায় আমরা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের কথা তুলে ধরে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যেতে বলেছি।” তিনি আরও বলেন, “খড়্গপুরে চাচা কংগ্রেসের রূপকার। তিনি এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন করেছেন। উন্নয়নে কংগ্রেসের ভূমিকা রয়েছে। তাই এই নির্বাচনেও কর্মিরা কংগ্রেসকে এগিয়ে দেবেন-এই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে।” এ দিন দাঁতন ও মোহনপুর ব্লকেও প্রার্থীকে নিয়ে কংগ্রেসের কর্মিসভার হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন