সেতু চালু হওয়া নিয়ে জমে উঠল ভোট তরজা! কাঁসাই নদীর উপর ডেবরার লোয়াদা সেতুর কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু সেতুর সংযোগকারী রাস্তা না হওয়ায় তা চালু করা যায়নি। এ নিয়ে সরব হয়েছেন ঘাটাল কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী মানস ভুঁইয়া। ভোটের বাজারে প্রতিপক্ষকে জমি ছাড়তে নারাজ সিপিআই প্রার্থী সন্তোষ রাণাও। তিনি বলেন, “তৃণমূলের দেওয়া সেতু চালুর প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ার দায় কংগ্রেসও এড়াতে পারবে না।”
সোমবার ডেবরার গোলগ্রামের পারুলডিহি, দণ্ডেশ্বর, যোতনারায়ণ ও কোয়াপাটে বামেদের কর্মিসভায় সন্তোষবাবু ছাড়াও ছিলেন সিপিআই জেলা নির্বাচনী পরিদর্শক অশোক সেন, জেলা নেতা বলাই মানিক, সিপিএম জোনাল সম্পাদক প্রাণকৃষ্ণ মণ্ডল। বাম কর্মী-সমর্থকেরা লোয়াদা সেতু নিয়ে প্রার্থীকে প্রশ্ন করেন। সন্তোষবাবু বলেন, “বাম আমলেই ওই সেতুর মূল কাঠামো গড়া হয়েছিল। তৃণমূল বিধানসভা জিতে তিন মাসের মধ্যে সেতুর সংযোগকারী রাস্তা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এক ইঞ্চি কাজও হয়নি।” তাঁর আরও বক্তব্য, “বিধানসভা ভোটে তৃণমূল-কংগ্রেস জোট ছিল। তাই সেতু চালু না হওয়ার দায় কংগ্রেসও এড়াতে পারবে না।”
বাম আমলে লোয়াদা পঞ্চায়েত এলাকায় কাঁসাইয়ের উপর সেতুর কাজ শুরু হয়। সেতুর এক দিকে লোয়াদা আর অন্য দিকে গোলগ্রাম। বরাদ্দ ৯ কোটি টাকায় নদীর উপরের অংশে সেতুর কাজ শেষ হয়। তবে জমি-জটে দু’দিকে রাস্তা তৈরির কাজ আটকে যায়। তারপর থেকে এখনও সেই কাজ শুরুই হয়নি। ডেবরায় প্রচারে এসে লোয়াদা সেতুর প্রসঙ্গ তোলেন মানসবাবু। তিনি বলেন, “বিগত বাম সরকার সেতু নির্মাণ করলেও সংযোগকারী রাস্তার কাজ করেনি। বর্তমান সরকারও রাস্তা তৈরিতে উদ্যোগী হয়নি।” তাঁর আশ্বাস, “নির্বাচনের পরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আমি এই সমস্যার সমাধান করবই।” ডেবরার ব্লক তৃণমূল সভাপতি রতন দে-র অবশ্য বক্তব্য, “বাম আমলে অপরিকল্পিতভাবে রায়ত জমির উপরে এই সেতু নির্মাণ শুরু হয়েছিল। নিজেদের দোষ ঢাকতে ওরা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে।”