মাকে খুনের নালিশ, দাঁতনে গ্রেফতার যুবক

মাঝরাতে বাড়িতে ঢুকে খাবার না পেয়ে মাকে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দাঁতনের শালিকোটা পঞ্চায়েতের উত্তর আড়বোনা গ্রামে। মৃতের নাম মণি মুর্মু (৪৫)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বছর তেইশের ছেলে রামো মুর্মুর সঙ্গে অশান্তি বাধে মণিদেবীর। তখনই কাঠের পিড়ি দিয়ে মাকে একাধিকবার আঘাত করেন রামো। জখম হয়ে মারা যান মণিদেবী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:১০
Share:

মাঝরাতে বাড়িতে ঢুকে খাবার না পেয়ে মাকে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দাঁতনের শালিকোটা পঞ্চায়েতের উত্তর আড়বোনা গ্রামে। মৃতের নাম মণি মুর্মু (৪৫)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বছর তেইশের ছেলে রামো মুর্মুর সঙ্গে অশান্তি বাধে মণিদেবীর। তখনই কাঠের পিড়ি দিয়ে মাকে একাধিকবার আঘাত করেন রামো। জখম হয়ে মারা যান মণিদেবী। রবিবার রামোকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

দাঁতনের উত্তর আড়বোনা গ্রামের একটা বড় অংশে বহু আদিবাসী পরিবারের বাস। বছর কয়েক আগে সম্পর্কে মামি গ্রামের এক মহিলার সঙ্গে প্রণয় সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন রামো। বছর বত্রিশের ওই মহিলার স্বামী গত বছর যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তাঁরা পালিয়েও যান। আদিবাসী সমাজে মামি-ভাগ্নের বিয়ের রীতি থাকলেও অসম বয়সের ওই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি রামোর মা-সহ এলাকাবাসী। মাস তিনেক পরে তাঁরা গ্রামে ফিরলে গোলমাল শুরু হয়। গত বছর ২৮ মে সালিশি সভা ডাকে গ্রামের মাতব্বরেরা। সে দিন রামো এবং ওই মহিলার মাথার চুল কামিয়ে গ্রাম ঘোরানোর অভিযোগ ওঠে। ৯ জন গ্রেফতারও হয়। হোমে পাঠানো হয় ওই মহিলাকে। এরপর থেকে মদ্যপান আসক্ত হন রামো। আর তার জেরে প্রায় প্রতি রাতেই বাড়ি ফিরে মায়ের সঙ্গে অশান্তি করতেন সে।

মাস কয়েক ধরেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন রামোর মা মণিদেবী। পরিবারের আর্থিক অবস্থাও ভাল নয়। শনিবার রাতে রামো যখন বাড়ি ফেরেন মণিদেবী তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। নেশাগ্রস্ত রামো খেতে চাইলে মণিদেবী জানিয়ে দেন, খাবার নেই। মা-ছেলেতে বচসা বাধে। অশান্তি চলাকালীন রামো তাঁর মায়ের মাথায় কাঠের পিঁড়ি দিয়ে বেশ কয়েকবার আঘাত করে বলে অভিযোগ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় মণিদেবীর। রবিবার পুলিশে অভিযোগ জানান প্রতিবেশী লক্ষ্মী মাণ্ডি। তার ভিত্তিতে ধরা হয় রামোকে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক গুপ্ত বলেন, “ওই যুবক তার মা-কে খুন করেছে বলে অভিযোগ। কী কারণে এই ঘটনা তা জানতে ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে।” আজ, সোমবার রামোকে মেদিনীপুর আদালতে হাজির করে পুলিশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন