স্নেহা ঘোড়ই।—নিজস্ব চিত্র।
বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নাচ করার সময় মোমের শিখা থেকে ওড়নায় আগুন লেগে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী জখম হল। সোমবার বিকেলে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মহিষাদল বইমেলা প্রাঙ্গণে। স্নেহা ঘোড়ই নামে ওই ছাত্রীকে সঙ্গে সঙ্গে মহিষাদল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে এসএসকেএম-এ স্থানান্তরিত করা হয়।
মহিষাদলের রাজবাড়ি চত্বরে (ছোলাবাড়িতে) মহিষাদল বইমেলা সমিতির উদ্যোগে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল। উদ্বোধনের মঞ্চে মহিষাদল গয়েশ্বরী গার্লস হাইস্কুলের পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ৯৪ জন ছাত্রী একটি বৃত্তাকার জায়গায় মোমবাতি নিয়ে ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে...’ গানের সুরে নাচছিল। কখনও মোমবাতি মাটিতে রাখছিল, কখনও মোমবাতি হাতে নিয়ে চলছিল নাচ। মাটিতে মোমবাতি থাকায় এক সময় অসাবধনতাবশত স্নেহার ওড়নার আগুন লেগে যায় বলে জানা গিয়েছে। মেলা কমিটির লোকেরা তাকে উদ্ধারে হাত লাগায়। তাতে চার জন আগুনে অল্পবিস্তর জখম হন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিত্সা হয় মহিষাদল গ্রামীণ হাসপাতালে। বেসরকারি উদ্যোগে ওই মেলা শুরু হয়েছে। কমিটির সভাপতি হরিপদ মাইতি বলেন, “গয়েশ্বরী গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রীরা নাচ করছিল। ওরা যে মোমবাতি নিয়ে নাচ করবে, তা জানা ছিল না। এ ভাবে মোমবাতি নিয়ে নাচ করা ঠিক হয়নি।”
স্নেহার বাবা সমীর ঘোড়ই বলেন, “মেয়ে ছোট থেকেই নাচে। এ দিন মায়ের সঙ্গে বইমেলা চত্বরে নাচের অনুষ্ঠানেই গিয়েছিল। অসাবধনতাবশত মোমবাতি থেকে আগুন লেগেছে বলে শুনেছি।” স্নেহার স্কুলের শিক্ষিকা শুভ্রাশ্রী মাইতি ছাড়াও আরও কয়েক জন শিক্ষিকা এ দিনের নাচের দায়িত্বে ছিলেন। শুভ্রাশ্রীদেবী জানান, “এর আগেও এমন নাচ করেছি। এ দিনের অনুষ্ঠান দুর্ঘটনাই।” সকলেই স্নেহার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।