সবং

মারধরে গ্রেফতার কংগ্রেস কর্মী

সিপিএমের জোনাল সদস্য প্রহৃত হওয়ার ঘটনায় এক কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে সবংয়ের নওগা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তপন দাস অধিকারীকে। ওই এলাকাতেই বাড়ি তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৩২
Share:

সিপিএমের জোনাল সদস্য প্রহৃত হওয়ার ঘটনায় এক কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার রাতে সবংয়ের নওগা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় তপন দাস অধিকারীকে। ওই এলাকাতেই বাড়ি তাঁর। শুক্রবার রাতে দলের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত হন সিপিএমের সবং জোনাল কমিটির সদস্য কার্তিক ঘোড়াই। অভিযোগ, একশো দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় তাঁকে মারধর করে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য কংগ্রেসের কৃষ্ণকান্ত সাঁতরা ও তাঁর অনুগামীরা। কৃষ্ণকান্ত, তাপস-সহ ১১ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন কার্তিকবাবুর স্ত্রী শিবানীদেবী। মাথায় আঘাত নিয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছেন ওই সিপিএম নেতা।

Advertisement

নওগা গ্রাম পঞ্চায়েতের নওগা গ্রামে একশো দিনের কাজের মাস্টার রোলে অনিয়ম হয়েছে বলে গত ৩১ অক্টোবর বিডিও-র কাছে অভিযোগ করেছিলেন কার্তিকবাবু। নওগা গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রয়েছে বামেরা। তবে যে এলাকার দুর্নীতি নিয়ে তিনি সরব হয়েছেন, সেখানকার পঞ্চায়েত সদস্য কংগ্রেসের কৃষ্ণকান্ত। কার্তিকবাবুর অভিযোগ, যে মাস্টার রোলে অনিয়ম হয়েছে, সেটি কৃষ্ণকান্ত সাঁতরা পরিচালিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি করা। সে জন্যই কৃষ্ণকান্তের নেতৃত্বে তাঁর উপরে হামলা হয়। কৃষ্ণকান্ত-সহ ১০ জন অভিযুক্ত এখনও পলাতক। কংগ্রেস অবশ্য এই ঘটনায় দলের কারও জড়িত থাকার অভিযোগ মানেনি। জেলা কংগ্রেস সভাপতি বিকাশ ভুঁইয়া বলেন, “একজন খুনের আসামীর (কার্তিকবাবু) অভিযোগ ঠিক কি না, তা দেখে পুলিশের গ্রেফতার করা উচিত ছিল। এলাকায় সিপিএম-তৃণমূল একযোগে কংগ্রেসকে হেয় করার চেষ্টা চালাচ্ছে আর গোষ্ঠী কোন্দল চাপা দিতে কংগ্রেসের নামে মিথ্যে অভিযোগ তুলছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement