অবস্থান বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র।
অবিলম্বে কারখানা খুলে মজুরি বাড়ানোর দাবি তুলে এ বার রিলে অনশনের হুঁশিয়ারি দিল খড়্গপুরের নিমপুরা শিল্পতালুকের রাফ বিয়ারিং কারখানার শ্রমিকেরা।
শ্রমিকদের অভিযোগ, মজুরি বৃদ্ধির দাবি না মেনে গত শনিবার উল্টে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের বিজ্ঞপ্তি ঝোলায় কারখানা কর্তৃপক্ষ। সেই থেকেই দফায় দফায় কারখানার গেটের বাইরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শ্রমিকরা। বুধবার আইএনটিটিইউসি-র নেতৃত্বের উপস্থিতিতে সরাসরি রিলে অনশনের হুঁশিয়ারি দিলেন তাঁরা।
১৯৯৮ থেকে স্থানীয় টাটা বিয়ারিং কারখানার অনুসারি শিল্প হিসেবে কাজ করছে রাফ বিয়ারিং কারখানাটি। প্রায় দু’শো শ্রমিক এই কারখানায় কাজ করেন। অভিযোগ, তাঁদের মজুরি এখনও দিন প্রতি ৫৩ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা। এই মজুরি সরকার নির্ধারিত মূল্যের প্রায় অর্ধেকেরও কম বলে দাবি শ্রমিকদের। এমন মজুরি নিয়ে ক্ষোভ গোপন করছেন না তাঁদের কেউই। শ্রমিকেরা অধিকাংশই আগে সিটু-র সংগঠন করতেন। মাস ছ’য়েক আগে তাঁদের অনেকে আইএনটিটিইউসিতে যোগ দেন বলে জানা গিয়েছে। তারপরও দাবি পূরণ হয়নি।
শ্রমিকেরা জানাচ্ছেন, গত ৫ জানুয়ারি মালিক কর্তৃপক্ষকে মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে দাবিসনদ জমা দেন। এরপর কারখানা কর্তৃপক্ষ ফেব্রুয়ারিতে আলোচনায় বসার আশ্বাস দেয় বলে শ্রমিকদের দাবি। বিক্ষোভকারী শ্রমিক সংগঠনের যুগ্ম-সম্পাদক প্রসাদ রাও, গুরুচরণ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “সরকার নির্ধারিত মজুরির অর্ধেকেরও কমে এত বছর কাজ করছি। তাই দাবিসনদে মজুরি বৃদ্ধির কথা জানিয়েছিলাম। কারখানা কর্তৃপক্ষ আলোচনার আশ্বাস দিয়েও গোপনে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ ঝুলিয়েছে।”
শ্রমিকেরা এ দিন উপ শ্রম আধিকারিকের উপস্থিতিতে মালিক পক্ষের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের দাবি তুলেছেন। তা মেনে আইএনটিটিইউসি-র জেলা সভাপতি জহরলাল পাল বলেন, “উপ-শ্রম আধিকারিক ত্রিপাক্ষিক আলোচনায় ডেকেছেন। আজ, বুধবার সেই বৈঠক হবে।” একই সঙ্গে তিনি বলছেন, আলোচনায় শ্রমিক স্বার্থ পূরণ না হলে শ্রমিকেরা কারখানার গেটের সামনে অনশনে যাবেন। কারখানার মালিক এস পি অধিকারীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও উত্তর মেলেনি।