অনুমতি থাকা সত্বেও যাত্রী তুলতে গিয়ে হলদিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অটো চালকেরা বাধার মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ। মোটরচালিত ভ্যান থেকে শুরু করে ম্যাজিক ভ্যান, ট্রেকার চালকেরা তাঁদের হলদিয়ার বিভিন্ন স্ট্যান্ডে দাঁড়াতে দিচ্ছে না এই মর্মে অভিযোগ জানিয়ে পুরসভার দ্বারস্থ হয়েছেন অটো চালকেরা।
শনিবার জনা পনেরো অটো চালক পুরসভার গেটের সামনে অটো দাঁড় করিয়ে বিক্ষোভ দেখান। হলদিয়ার পুরপ্রধান দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, “অটো চালকরা বিভিন্ন রুটে অটো চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তাঁরা যাতে সুষ্ঠু ভাবে অটো চালাতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হবে।” পূর্ব মেদিনীপুরের আঞ্চলিক পরিবহণ দফতরের আধিকারিক (আরটিও) মলয় রায় বলেন, “এ বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি। নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশও।
হলদিয়া শহরের একাধিক ছোট ছোট রুটের যানবাহনের সমস্যা দূর করতে পুজোর আগে পুরসভা ও আঞ্চলিক পরিবহণ দফতর প্রায় ২০টি রুটে অটো চালাতে উদ্যোগী হয়। পুরসভার পক্ষ থেকে ওই সব রুটে অটো চালানোর জন্য আবেদন জানাতে প্রচারও করা হয়। তারপরই প্রায় ২০ জন কয়েক দফায় ২০টি অটো কিনে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিয়ে অটো চালাতে উদ্যোগী হন। তারপরই এই সমস্যা!
এইচআরইএল আবাসন থেকে সিটি সেন্টার হয়ে মঞ্জুশ্রী মোড় পর্যন্ত অটো চালানোর অনুমতি পেয়েছেন ক্ষুদিরামনগরের বাসিন্দা শেখ সামসুদ্দিন। তিনি জানালেন, ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে অটো কিনেছেন। তাঁর অভিযোগ, “সপ্তাহখানেক আগে যাত্রী নিয়ে যখন ফিরছিলাম, তখন মাঝ রাস্তায় গাড়ি আটকে এক ম্যাজিক ভ্যানের চালক মারধর করে।” স্ট্যান্ডে দাঁড়াতে না দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন অন্য অটো চালকেরাও। তাঁদের প্রশ্ন, ঋণ নিয়ে অটো কিনেছি। এমনটা চলতে থাকলে টাকা শোধ করব কী করে?