যুব তৃণমূলের কমিটির বৈধতা নিয়ে জল্পনা

দলের যুব সভাপতির অনুমোদন ছাড়া কোনও যুব কমিটি গঠন করা যাবে না সোমবার খড়্গপুরে এসে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট মুখোপাধ্যায়। এ দিন রেলশহরের ইন্দার এক বেসরকারি হলে যুব কর্মীদের নিয়ে বৈঠক হয়। রুদ্ধদার সেই বৈঠকে রাজ্য যুব সাধারণ সম্পাদক কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:২১
Share:

রেলশহরে যুব তৃণমূলের সভা

দলের যুব সভাপতির অনুমোদন ছাড়া কোনও যুব কমিটি গঠন করা যাবে না সোমবার খড়্গপুরে এসে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট মুখোপাধ্যায়। এ দিন রেলশহরের ইন্দার এক বেসরকারি হলে যুব কর্মীদের নিয়ে বৈঠক হয়। রুদ্ধদার সেই বৈঠকে রাজ্য যুব সাধারণ সম্পাদক কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করতে এসেছি। আপনারা পুরভোটে এক সঙ্গে কাজ করুন। আমাদের যুব তৃণমূলের কমিটি গঠনের কাজ চলছে। কিন্তু যুব সভাপতির অনুমোদন ছাড়া কোনও কমিটি গঠন করা যাবে না। আর যদি কোনও কমিটি হয়েও থাকে, সেটি মানা হবে না।”

Advertisement

মাস খানেক আগে খড়্গপুর শহর-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন ব্লকে যুব তৃণমূলে রদবদল করেছিলেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি শ্রীকান্ত মাহাতো। জেলার সম্পাদকের পদে দায়িত্ব দিয়েছিলেন রেলশহরের যুব নেতা রাজেশ সিংহকে। নতুন সেই রদবদল ঘিরে যুব তৃণমূলের একাংশের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয় বলে সংগঠনের একটি সূত্রে খবর। শুরু হয় কোন্দলও। পুরভোটের আগে সেই অসন্তোষ প্রশমিত করতেই এ দিনের কর্মী বৈঠক বলে একটি সূত্রের দাবি। তবে সেই উদ্দেশ্য কতদূর সার্থক হল তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই গেল! কেননা রাজ্য যুব সাধারণ সম্পাদকের সেই বৈঠকে যাননি শ্রীকান্ত মাহাতো। ছিলেন না জেলা যুব সভাপতির হাত থেকে সংগঠনের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পাওয়া নেতারাও। তবে ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য জহরলাল পাল, শহর তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস চৌধুরী ঘনিষ্ঠ আশিস সেনগুপ্ত প্রমুখ।

কেন ছিলেন না? তা ছাড়া রাজ্য যুব সাধারণ সম্পাদকের এমন মন্তব্যের পরে তাঁর তৈরি কমিটি নিয়েই কি প্রশ্ন উঠে গেল না? সদুত্তর এড়িয়ে শ্রীকান্তবাবু বলেন, “বিধানসভায় রয়েছি। এ ধরনের সাংগঠনিক বৈঠকের কথা জানা নেই।” এমন বৈঠকের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তিনি। এরপরই তিনি বলেন, “জেলায় যে সব যুব নেতার বয়স হয়ে গিয়েছে, তাঁদের সরিয়ে নতুনদের পদে বসানো হয়েছিল। সবটাই যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়ে করা হয়েছে।”

Advertisement

বস্তুত, পুরভোটের আগেও শাসক দলে আকচা আকচি চলছেই। খড়্গপুর শহর, এমনকী জেলায় তৃণমূলের কোন্দল নিয়ে বিড়ম্বনা বাড়ছে রাজ্য নেতৃত্বেরও। কিছু দিন আগেই জেলা মহিলা তৃণমূলের বর্ধিত সভা ডেকে খড়্গপুর শহর সভানেত্রী হিসেবে সুমিতা দাসের নাম ঘোষনা করেন জেলা সভানেত্রী। ঠিক তার পর দিনই তৃণমূলের খড়্গপুর শহর কমিটির উদ্যোগে মহিলা সম্মেলন ডেকে ফের শহর সভানেত্রী হিসেবে অর্চনা ভট্টাচার্যের নাম ঘোষণা করা হয়। সেক্ষেত্রে কে শহর সভানেত্রী, তা নিয়ে জল্পনা চলছেই। তার মাঝেই জেলা যুব তৃণমূল সভাপতির বিভিন্ন ব্লক ও শহরের সভাপতি বদলের পরে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। এই আবহে শ্রীকান্তবাবু তাঁর গড়ে দেওয়া কমিটি নিয়ে যাই দাবি করুন না কেন, রাজ্য যুব সাধারণ সম্পাদকের এ দিনের মন্তব্যের পরে সেই কমিটির বৈধতা নিয়ে নতুন জল্পনা তৈরি হল।

মাইক বাজানোয় গ্রেফতার। মাধ্যমিক চলাকালীন মাইক বাজানোর নিষেধাজ্ঞা না মানার অভিযোগে ছ’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোমবার সকালে হলদিয়ার ভবানীপুর থানার এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে মাইক সেট ও একটি গাড়িকে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে ব্রজলালচক এলাকায় ওই গাড়ি চেপে একটি অনুষ্ঠানের প্রচার চালানো হচ্ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ তাদের গাড়িটি আটক করে। পরে ওই গাড়িতে থাকা ছ’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের এ দিন হলদিয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক জামিনের নির্দেশ দেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন