রেল হাসপাতালের দুই কর্মীকে মারধর

যুবতীর বধূর অপমৃত্যুর ঘটনায় মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা হাসপাতালে এসে জামাইকে মারধর করছিলেন। তাতে বাধা দিতে গিয়ে প্রহৃত হলেন রেল হাসপাতালের দুই কর্মী। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর রেল হাসপাতালে। এ দিন ওই রেল হাসপাতালে মৃতা রেশমি প্রামাণিকের (২৫) দেহ নিয়ে আসেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এরপরেই ঘটনাস্থলে বাপের বাড়ির লোকেরা পৌঁছলে অশান্তি বাধে। মৃতার স্বামী শ্যামল প্রামাণিককে মারধরের ঘটনায় বাধা দেন হাসপাতালের কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:২৮
Share:

যুবতীর বধূর অপমৃত্যুর ঘটনায় মৃতার বাপের বাড়ির লোকেরা হাসপাতালে এসে জামাইকে মারধর করছিলেন। তাতে বাধা দিতে গিয়ে প্রহৃত হলেন রেল হাসপাতালের দুই কর্মী। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে খড়্গপুর রেল হাসপাতালে। এ দিন ওই রেল হাসপাতালে মৃতা রেশমি প্রামাণিকের (২৫) দেহ নিয়ে আসেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এরপরেই ঘটনাস্থলে বাপের বাড়ির লোকেরা পৌঁছলে অশান্তি বাধে। মৃতার স্বামী শ্যামল প্রামাণিককে মারধরের ঘটনায় বাধা দেন হাসপাতালের কর্মীরা। সেই সময় জখম হন কৌশিক চক্রবর্তী ও নীতেন্দ্রনাথ দাস নামে রেল হাসপাতালের দুই কর্মী। এর পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস চারেক হল শহরের সাঁজোয়ালের বাসিন্দা রেশমির সঙ্গে বিয়ে হয় পেশায় বেসরকারি সংস্থার কর্মী ভবানীপুরের শ্যামলের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই অশান্তি চলছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এ দিন দুপুরে শ্বশুর বাড়িতে গলায় দড়ির ফাঁসে ঝুলতে দেখা যায় রেশমিকে। অভিযোগ, পুলিশে খবর দেওয়ার আগেই দেহটি নামিয়ে ফেলেন শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। শ্বশুর রেলের কর্মী হওয়ায় তাঁরা রেশমির দেহটি রেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই রেশমির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়ে দেন চিকিত্‌সকেরা।

এরপরেই খুনের অভিযোগ তুলে মৃতার স্বামীর উপরে চড়াও হয়ে মারধর শুরু করেন বাপের বাড়ির পরিজনেরা। এই কাণ্ড দেখে বাধা দিতে আসেন হাসপাতালের কর্মীরা। অভিযোগ, সেই সময় হাসপাতালের ওই দুই কর্মীকেও মারধর করে বাপের বাড়ির পরিজনেরা। আসে পুলিশ। বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে হাসপাতালের কাজ। রেল হাসপাতালের চিফ মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্ট এ মণ্ডল বলেন, “হাসপাতালে আনার আগেই ওই বধূর মৃত্যু হয়েছিল। তারপর গোলমাল বাধে। হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় আমাদের কর্মীরা বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন। আমরা পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছি।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন