রাস্তা সংস্কার চেয়ে অবরোধ

আশ্বাসই সার। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পথ অবরোধ করার পরও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। গত দু’বছরে রাস্তা সংস্কারের কোনও কাজই হয়নি। তাই ফের অবরোধের পথই বেছে নিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে ‘বড়চারা-খড়িকা পাকারাস্তা বাঁচাও কমিটি’র উদ্যোগে সবংয়ের ডেবরা-পটাশপুর সড়কের বড়চারা মোড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা অবরোধ করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৪ ০০:৫৪
Share:

সবংয়ে রাস্তা অবরোধ। —নিজস্ব চিত্র।

আশ্বাসই সার। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পথ অবরোধ করার পরও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। গত দু’বছরে রাস্তা সংস্কারের কোনও কাজই হয়নি। তাই ফের অবরোধের পথই বেছে নিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে ‘বড়চারা-খড়িকা পাকারাস্তা বাঁচাও কমিটি’র উদ্যোগে সবংয়ের ডেবরা-পটাশপুর সড়কের বড়চারা মোড়ে স্থানীয় বাসিন্দারা অবরোধ করে। সাত ঘণ্টা ধরে চলা অবরোধে স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক ও পড়ুয়ারাও সামিল হন। দিনের ব্যস্ত সময়ে অবরোধে রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। পরে বিডিওর রাস্তা সংস্কারের আশ্বাসে দুপুর দেড়টা নাগাদ অবরোধ উঠে যায়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সবংয়ের তেমাথানি থেকে বড়চারা হয়ে খড়িকা যাওয়ার এই ন’কিলোমিটার রাস্তাটি পঞ্চায়েত সমিতির হাতেই ছিল। বছর পাঁচেক আগে জেলা পরিষদের মাধ্যমে দু’টি ঠিকাদার সংস্থাকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় দু’দফায় রাস্তাটি পিচের করা হয়। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, নির্মাণের পর পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় তৈরি রাস্তার দেখভালের দায়িত্ব নির্মাণকারী ঠিকাদার সংস্থার। বছর দু’য়েক আগে থেকে সমগ্র রাস্তাটি খানাখন্দে ভরে যায়। ওই রাস্তার বড়চারা থেকে আদাসিমলা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার অংশে নির্মাণকারী ঠিকাদার সংস্থা সংস্কার কাজ করে। কিন্তু ওই রাস্তারই আদাসিমলা থেকে খড়িকা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার অংশের নির্মাণকারী ঠিকাদার সংস্থা কোনও সংস্কার কাজ না করেই চলে যায়। ফলে বর্ষায় রাস্তার আদাসিমলা থেকে খড়িকা পর্যন্ত অংশ বেহাল হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জেলা পরিষদ থেকে প্রশাসনিক মহলে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। তৃণমূলের দাবি, ওই সড়ক যেহেতু আগে পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে ছিল, তাই কংগ্রেস পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতি ওই রাস্তা সাময়িকভাবে মেরামত করতে পারে। যদিও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অমল পণ্ডা বলেন, “রাস্তা সংস্কার হোক, আমিও চাই। তবে আমি অবরোধের পক্ষে নই। তবে জেলা পরিষদের রাস্তা যদি আমাদের মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয় তবে ভেবে দেখব।” এলাকার নির্বাচিত জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি বলেন, “বামেরা কোনও রাস্তা মেরামত না করেই ভাঁড়ার শূন্য করে রেখে গিয়েছিল। আমরা এসে রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি। তবে প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার টাকা আসছে না। রাজ্য স্তরে ওই রাস্তা সংস্কারের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন