লক্ষ্মণ-তমালিকাকে ছাড়াই মঞ্চের প্রথম প্রকাশ্য কর্মসূচি

লক্ষ্মণ শেঠের নেতৃত্বাধীন ‘ভারত নির্মাণ মঞ্চ’ গঠনের পর সোমবার মঞ্চের তরফে জেলায় প্রথম প্রকাশ্য কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হল। এ দিন বিকেলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে তমলুক শহরের হাসপাতাল মোড়ের সমাবেশে মঞ্চের শ’তিনেক নেতা-কর্মী-সমর্থক জড়ো হন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:০১
Share:

মঞ্চের মিছিল। —নিজস্ব চিত্র।

লক্ষ্মণ শেঠের নেতৃত্বাধীন ‘ভারত নির্মাণ মঞ্চ’ গঠনের পর সোমবার মঞ্চের তরফে জেলায় প্রথম প্রকাশ্য কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হল। এ দিন বিকেলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে তমলুক শহরের হাসপাতাল মোড়ের সমাবেশে মঞ্চের শ’তিনেক নেতা-কর্মী-সমর্থক জড়ো হন।

Advertisement

মঞ্চের সহ-সভাপতি অশোক গুড়িয়া মঞ্চের লক্ষ্য ও কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, “আগামী দিনে মঞ্চ রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে আন্দোলন করবে এবং ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।” সিপিএমে গণতন্ত্র নেই, এই অভিযোগ তুলে মঞ্চের আরেক সহ-সভাপতি প্রণব দাস এ দিন বলেন, “সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করার পরিবর্তে, বর্তমান নেতৃত্বের একাংশ আমাদের বিরুদ্ধে নানা ভাবে চক্রান্তে লিপ্ত ছিল। তা পছন্দ হয়নি বলে আমরা দল ছেড়েছি।”

এ দিনের সভায় মঞ্চের সম্পাদক বিজন মিত্র, সহ-সভাপতি শক্তি বেরা-সহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভার পরে হাসপাতাল মোড় এলাকায় মঞ্চের তরফে মিছিল হয়। কর্মসূচির শেষ দিকে মঞ্চের আরেক সহ-সভাপতি অমিয় সাহু হাজির হন। মিছিল শেষে শান্তির প্রতীক হিসেবে পায়রা ওড়ান অমিয়বাবু। তিনি সাংবাদিকদের জানান, “আমেরিকার আগ্রাসন নীতির প্রতিবাদ জানাতেই শান্তি মিছিল কর্মসূচি নিয়েছি।” তাঁর কথায়, “রাজ্য ও জেলার উন্নয়নের স্বার্থে মঞ্চের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হবে।

Advertisement

মঞ্চের কর্মসূচিতে শেঠ দম্পতি নেই কেন? মঞ্চের এক সূত্রে খবর, লক্ষ্মণ শেঠ যে আসছেন না, এটা জানাই ছিল। কিন্তু, লক্ষ্মণ-জায়া? অমিয়বাবু বলেন, “শারীরিক অসুস্থতার কারণেই উনি আজকের কর্মসূচিতে যোগ দিতে পারেননি।”

সিপিএমের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্মল জানা মঞ্চের কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, “দলের কাছে এটা একেবারেই গুরুত্বহীন।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement