শেঠ-তালুকে ঢুকতে বাধা সিপিএমকে, সঙ্গে তৃণমূল

সিপিএমের কার্যালয়ে সিপিএমেরই বৈঠক। কিন্তু কার্যালয়ের দখল এখন দলত্যাগীদের হাতে! ভিতরে দলত্যাগী আর বাইরে পুলিশ-তৃণমূলের বাধা। তাই ভেস্তে গেল সিপিএমের বৈঠকের পরিকল্পনা! লক্ষ্মণ শেঠ ও তাঁর অনুগামীরা দলের বাইরে চলে যাওয়ার পরে এমনটাই ঘটল হলদিয়ায়!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৪ ০৩:২৯
Share:

সিপিএমের কার্যালয়ে সিপিএমেরই বৈঠক। কিন্তু কার্যালয়ের দখল এখন দলত্যাগীদের হাতে! ভিতরে দলত্যাগী আর বাইরে পুলিশ-তৃণমূলের বাধা। তাই ভেস্তে গেল সিপিএমের বৈঠকের পরিকল্পনা! লক্ষ্মণ শেঠ ও তাঁর অনুগামীরা দলের বাইরে চলে যাওয়ার পরে এমনটাই ঘটল হলদিয়ায়!

Advertisement

গাজায় ইজরায়েলি হানার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকেলে হলদিয়ার সিপিএম নেতৃত্ব কদমতলা থেকে ক্ষুদিরাম নগর বাজার পর্যন্ত মিছিলের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। কিন্তু আগে আবেদন করা হয়নি, এই যুক্তিতে পুলিশ-প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। ক্ষুব্ধ সিপিএম নেতৃত্ব কিছু সমর্থককে নিয়ে হলদিয়ায় জোনাল কমিটির কার্যালয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছিলেন। গেটের কাছে আসতেই পুলিশের উপস্থিতিতে তৃণমূলকর্মীরা তাঁদের বাধা দেন বলে সিপিএমের অভিযোগ। তাদের আরও অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূলের সঙ্গে যোগসাজশ করে দলত্যাগী সিপিএম নেতারাই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন!

মিছিলের নেতৃত্বে থাকা সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্মল জানা, হলদিয়া শহর লোকাল কমিটির সম্পাদক অচিন্ত্য শাসমলের অভিযোগ, কার্যালয়ের গেটের সামনেই তৃণমূলের লোকজন তাঁদের মারতে উদ্যত হয়। পুলিশ তাতে বাধা না-দিয়ে কার্যালয়ে ঢোকার পথ আটকায়! অচিন্ত্যবাবু বলেন, “দু’পক্ষের এই নির্লজ্জ আচরণ দেখে স্তম্ভিত হয়ে আমরা চলে আসি!”

Advertisement

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হলদিয়া) অমিতাভ মাইতির যুক্তি, “আমাদের কাছে সিপিএমের লোকজন এসে বলেন, তাঁরা জোনাল কার্যালয়ে থাকা লোকজনকে বাইরে বার করে দেবেন। কারণ, সেটা তাঁদের পার্টি অফিস। বিষয়টি যে হেতু জমি-বাড়ির মালিকানা সংক্রান্ত, তাই আদালতের নির্দেশ ছাড়া এ ভাবে দখল নেওয়া যাবে না, তা বুঝিয়ে বলা হয়। তার পরেও ওঁরা ঢুকতে চাইলে আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কায় কড়া পদক্ষেপ করা হয়েছে।”

স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূলের নেত্রী চম্পা মাঝির নেতৃত্বে কয়েক জন এ দিন সিপিএম নেতা-কর্মীদের দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতে বাধা দেন। চম্পাদেবীর অভিযোগ, “সিপিএম এলাকার সর্বনাশ করে গিয়েছে। ওরা এখানে আসা মানে ফের অশান্তি শুরু হওয়া। ওদের আমরা এলাকায় ঢুকতে দেব না। তাই স্থানীয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বাধা দিয়েছি।”

হলদিয়া জোনাল কমিটির কার্যালয় আসলে ‘সুকুমার সেনগুপ্ত ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’-এর নামে রয়েছে। ট্রাস্টের নেতৃত্বে রয়েছেন তমালিকা পণ্ডা শেঠ, প্রণব দাসেরাই। সিপিএমের সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে দেওয়ার পরে তাঁরা এখন ওই বাড়ির দখল ছাড়তে নারাজ। সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নির্মলবাবু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, “দলের সদস্যদের অর্থ, শ্রমে এই বাড়ি তৈরি হয়েছিল। এখন ভবনটি আছে ট্রাস্টের নামে। অধিকার পেতে প্রয়োজনে আইনি লড়াইয়ে যাব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন