হলদিয়া ট্রেড সেন্টারে মূর্তি উদ্বোধন। ছবি: আরিফ ইকবাল খান।
মহিষাদল ও হলদিয়ায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত সতীশ সামন্তের ১১৫ তম জন্মদিবস। সোমবার মহিষাদলের গোপালপুরে সতীশ সামন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত ও সতীশ সামন্তের পরিবারের উদ্যোগে সতীশ সামন্তের জন্মদিন পালন করা হয়। এই উপলক্ষে মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগেও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পঞ্চায়েত সমিতির সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা মহিষাদল বাজার এলাকা পরিক্রমা করে প্রজ্ঞানন্দ ভবনের কাছে গিয়ে শেষ হয়। প্রজ্ঞানন্দ ভবনে সতীশ সামন্তের জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিউলি দাস, মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি তিলক চক্রবর্তী প্রমুখ।
হলদিয়া পুরসভার উদ্যোগে হলদিয়ার হাতিবেড়িয়ায় সতীশ সামন্ত পার্কে সতীশ সামন্তের জন্মদিবস পালিত হয়। এ দিন সকালে পুরসভার উদ্যোগে এক শোভাযাত্রা বের হয়। এক আলোচনাসভায় পুরসভার পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধীদের ট্রাই সাইকেল দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী, হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান দেবপ্রসাদ মণ্ডল প্রমুখ। এ দিন হলদিয়ার রানিচকে বন্দরের গেটে সামনে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-এর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানেও যোগ দেন শুভেন্দুবাবু। বিকেলে হলদিয়ার ট্রেড সেন্টারে হলদিয়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এইচডিএ) উদ্যোগে সতীশ সামন্তের পূর্ণাবয়ব মুর্তির উদ্বোধন করেন এইচডিএ-এর চেয়ারম্যান শুভেন্দু অধিকারী।
মহিষাদলে প্রজ্ঞানন্দ ভবনে আলোচনাসভায় শুভেন্দুবাবু বলেন, “সতীশবাবু হলদিয়ার রূপকার। তাঁর হাত ধরে হলদিয়া আজ শিল্পনগরীতে পরিণত হয়েছে। স্বাধীনতার আগে ও পরে দেশ গঠনে সতীশবাবুর বিরাট ভূমিকা ছিল সতীশবাবুর জন্মদিন সারা রাজ্যজুড়ে পালন করা উচিত।” তিনি বলেন, “স্বাধীনতা আন্দোলনে মেদিনীপুর দেশকে অনেক কিছু দিয়েছে। দেশের কাছে মেদিনীপুরের যে মর্যাদা পাওয়া উচিত ছিল, তা পায়নি।” হলদিয়ার হাতিবেড়িয়ার পুরসভার উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শুভেন্দুবাবু বলেন, “হলদিয়ায় স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে লক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। তাঁদের অর্থনৈতিক দিক থেকে স্বনির্ভরতা এসেছে। সতীশবাবু যদি লড়াই করে বন্দর না করতে পারতেন, তাহলে হলদিয়া এত সমৃদ্ধ নগরী হিসেবে গড়ে উঠত না।” হলদিয়ার রানিচকে বন্দরের জিসি বার্থের গেটের কাছে আইএনটিটিইউসি আয়োজিত অনুষ্ঠানে হলদিয়া বন্দরের নাম সতীশ সামন্তের নামে উৎসর্গ করার দাবিও করেন শুভেন্দুবাবু।
সোমবার তমলুকের নিমতলায় সতীশচন্দ্রের মূর্তিতে পুরসভার পক্ষ থেকে মাল্যদান করা হয়। তমলুক শহরে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে মূর্তিতে মাল্যদান করা হয়।