শ্রমিকদের কাজে বহাল রাখার আশ্বাস শুভেন্দুর

হলদিয়া বন্দরের দশটি বার্থে দরপত্রের ভিত্তিতে নতুন পণ্য খালাসকারী সংস্থা কাজে যোগ দিলে পুরনো সংস্থার শ্রমিকদের কাজে রাখার বিষয়ে আশ্বস্ত করলেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিয়া শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০১৪ ০০:৩১
Share:

হলদিয়া বন্দরের দশটি বার্থে দরপত্রের ভিত্তিতে নতুন পণ্য খালাসকারী সংস্থা কাজে যোগ দিলে পুরনো সংস্থার শ্রমিকদের কাজে রাখার বিষয়ে আশ্বস্ত করলেন তমলুকের সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার চিরঞ্জীবপুরে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি’র বন্দর ঠিকা শ্রমিক মজদুর ইউনিয়নের সভায় হলদিয়া বন্দরকে বাঁচাতে পৃথক হলদিয়া পোর্ট ট্রাস্ট (এইচপিটি) গঠনের জন্য শ্রমিকদের আন্দোলনে সামিল হওয়ারও ডাক দেন তিনি।

Advertisement

সম্প্রতি হলদিয়া বন্দরের দশটি বার্থে পণ্য খালাসের দায়িত্ব নতুন সংস্থার হাতে তুলে দিতে দরপত্র দিয়েছে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ। গত কয়েক বছর ধরে একচেটিয়াভাবে মাত্র কয়েকটি পণ্য খালাসকারী সংস্থা এই কাজ করায় আর্থিক লোকসানের অভিযোগ ওঠে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রক নতুন করে দরপত্র দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু, নতুন পণ্য খালাসকারী সংস্থা কাজে যোগ দিলে আগের সংস্থাগুলিতে কর্মরত কয়েক হাজার শ্রমিক বা তাঁদের একাংশের কাজ হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সংগঠনের বন্দর কার্যালয় ‘বন্দর ভবন’ চত্বরে এ দিন শুভেন্দুবাবু বলেন, “পণ্য খালাস করার কাজে এজেন্সির পরিবর্তন হতেই পারে। তা নিয়ে শ্রমিক সংগঠন, জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক দলের আগ্রহ থাকা উচিত নয়। স্বচ্ছতা বজায় রেখে দরপত্র প্রক্রিয়া হওয়া উচিত। তাতে প্রতিষ্ঠানেও স্বচ্ছতা থাকে। আমি এর মধ্যে ঢুকতে চাই না।” শ্রমিকদের আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, “পণ্য খালাসের কাজে কোনও এজেন্সির পরিবর্তন হলেও কোনও শ্রমিক-কর্মীর পরিবর্তন হবে না।” শুভেন্দুবাবু এ দিনও শ্রমিকদের সতর্ক করে বলেন, “ধর্মঘট, কাজ বন্ধ করা, নিজেদের মধ্যে গোলমালে জড়িয়ে থাকা থেকে বিরত থাকতে হবে। বন্দরকে বাঁচাতে হবে। বন্দর না থাকলে ইউনিয়ন থাকবে না, শ্রমিকও থাকবে না।” পৃথক হলদিয়া পোর্ট ট্রাস্ট গঠন প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই করে আমরা এইচপিটি গঠন করতে পারবো। ইডেন চ্যানেল চালু, ড্রেজিং করার জন্যও লড়াই চালাতে হবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন