প্রদীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন। —নিজস্ব চিত্র।
স্কুল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে সৌর বিদ্যুত্ প্রকল্পের কাজের সূচনা হল বৃহস্পতিবার। এ দিন সকালে মহিষাদলের প্রজ্ঞানানন্দ ভবনে প্রকল্পের সূচনা করেন রাজ্যের পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার। অনুষ্ঠানে সুদর্শনবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের ৮০টি স্কুল ও ২০ টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে সৌর বিদুত্ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” তিনি জানান, এ দিন মহিষাদল-সহ রাজ্যের ৬টি জায়গা থেকে প্রকল্পের সূচনা করা হল। আগামী দশ-বারো মাসের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ১০ কোটি টাকা খরচ হবে। সুদর্শনবাবু জানান, আগামী দিনে আরও ৫০০টি স্কুল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পার্কে সৌর বিদ্যুত্ পৌঁছে দেওয়া হবে। এ দিন পূর্ব মেদিনীপুরের ৯টি স্কুল ও পশ্চিম মেদিনীপুরের দু’টি স্কুলের কর্মকর্তাদের হাতে প্রকল্পের শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের সমবায় দফতরের মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর, চণ্ডীপুরের বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্য, রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি, মহিষাদলের বিডিও তন্ময় বন্দোপাধ্যায়, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কৃষি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ বুদ্ধদেব ভৌমিক প্রমুখ।
রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা ও দার্জিলিং জেলার ৮০টি স্কুল ও ২০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সৌর বিদ্যুত্ প্রকল্পের কাজ এ দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হল। এ দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুদর্শনবাবু বলেন, “শিল্প বিপ্লবের পর থেকে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। গাছপালা কেটে শহরের প্রসার ও শিল্প কারখানা থেকে নির্গত গ্রিন হাউস গ্যাসের কারণে বায়ুমন্ডলেও পরিবর্তন হচ্ছে। এ জন্য গাছ লাগানো দরকার।” তাঁর কথায়, “কয়লা নির্ভর বিদ্যুত্ কেন্দ্রে উত্পাদিত বিদ্যুতের দামও বেশি। তাছাড়া দূষণও হয় বেশি। তাই সৌর বিদ্যুতের ব্যবহার বাড়াতে হবে। ইতিমধ্যে কলকাতা পুরসভা-সহ কলকাতার বিভিন্ন পার্কে সৌর বিদ্যুতের সাহায্যে আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের স্কুল ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে সৌর বিদ্যুতের প্রসার ঘটানোর চেষ্টা চলছে।”
পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর, হলদিয়া, চণ্ডীপুর, কাঁথি, মহিষাদল, ভগবানপুরের একটি করে স্কুলে ও পটাশপুরের তিনটি স্কুলে সৌর বিদ্যুত্ প্রকল্পের সূচনা হয়। এ ছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ও নয়াগ্রামের একটি করে স্কুলে এই প্রকল্পের কাজ হবে।