স্টেশন-বাসস্ট্যান্ডে ক্যাম্প করে সদস্য সংগ্রহ করবে বিজেপি

রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড-সহ জনবহুল মোড়ে ক্যাম্প করে সদস্য সংগ্রহ করবে বিজেপি। রবিবার দলের জেলা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সদস্য সংগ্রহ চলবে অনলাইনেও। ডিসেম্বরের গোড়া থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৫৪
Share:

মেদিনীপুর শহরে বিজেপির মিছিল।—নিজস্ব চিত্র।

রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড-সহ জনবহুল মোড়ে ক্যাম্প করে সদস্য সংগ্রহ করবে বিজেপি। রবিবার দলের জেলা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সদস্য সংগ্রহ চলবে অনলাইনেও। ডিসেম্বরের গোড়া থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে।

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরে এখন বিজেপির সদস্য প্রায় ৪০ হাজার। তা প্রায় ১ লক্ষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এ দিন সকালে মেদিনীপুরের সুভাষনগরে, দলের জেলা কার্যালয়ে বিজেপির জেলা কমিটির বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে দলের জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায় বলেন, “এ দিন সংগঠনের কিছু দিক নিয়েই আলোচনা হয়েছে। আগামী দিনে জেলায় ক্যাম্প করেও সদস্য সংগ্রহ চলবে।”

এ দিনের আলোচনায় উঠে আসে অমিত শাহের সভার বিষয়টিও। আগামী ৩০ নভেম্বর কলকাতায় বিজেপির এক সভা রয়েছে। সভায় উপস্থিত থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ ওই সভায় যাবেন বলে দাবি জেলা বিজেপির। সভার সমর্থনে জেলা জুড়ে প্রচারও শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় মিছিল হচ্ছে। রবিবার যেমন মহিলা মোর্চার ডাকে মেদিনীপুর শহরে এক মিছিল হয়। শনিবার শালবনির পিঁড়াকাটায় মিছিল করেন দলের কর্মী- সমর্থকেরা। তুষারবাবুর দাবি, “সভার প্রস্তুতি হিসেবে যে সব কর্মসূচি হচ্ছে, তাতে সাড়াও মিলছে। মানুষ ধরেই নিয়েছেন এই মুহুর্তে প্রকৃত বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপিই।” তাঁর কথায়, “৩০ নভেম্বরের সভার সমর্থনে জেলা জুড়ে প্রচার চলছে। মিটিং- মিছিল- পদযাত্রাও হচ্ছে।”

Advertisement

দলীয় সূত্রে খবর, এ দিন দু’দফায় জেলা বিজেপির বৈঠক হয়। গোড়ায় জেলা কমিটির বৈঠক হয়। পরে গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে রাজ্য নেতৃত্বের কিছু বার্তা জেলা নেতাদের কাছে পৌঁছে দেন তুষারবাবু। পাশাপাশি, সংগঠন বাড়াতে দলের নেতা- কর্মীদের আরও ভাল ভাবে কাজ করার পরামর্শও দেন তিনি। বুঝিয়ে দেন, নতুন প্রজন্ম এগিয়ে আসছে। তাদেরকেও দায়িত্ব দিতে হবে। তাঁর কথায়, “আমাদের ঘিরে মানুষের আশা- প্রত্যাশা অনেক। আমরাই মানুষের কাছে পৌঁছতে পারছি না। আমাদের সকলকেই নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। সঠিক সময় সঠিক কাজ করুন। ফাঁকি দিলে হবে না।” বৈঠক শেষে তুষারবাবু বলেন, “এখন এ জেলারও বিভিন্ন এলাকায় আমাদের কর্মীদের উপর তৃণমূলের লোকজন হামলা করছে। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার পরিবর্তে প্রমাণ লোপাট করে দিচ্ছে। তৃণমূল আশ্রিত লোকজনদের সমস্ত দোষ থেকে আড়াল করার চেষ্টা করছে। এ সব বেশি দিন চলতে পারে না।” তাঁর কথায়, “জোর করে লাঠি দিয়ে গুণ্ডা দিয়ে বিজেপির উত্থান রোখা যাবে না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন