সেতু চালু হলেও হয়নি রাস্তা, লালগড়ে বিক্ষোভ

নতুন সেতুর উদ্বোধনই সার। সংযোগকারী রাস্তার দাবিতে শুক্রবার লালগড় সেতুর উপর জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় কানাইপাল, ধামরো, ঝাপড়দা, চিতরাঙা, চন্দ্রপুরের কয়েকশো গ্রামবাসী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

লালগড় শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০২:০৫
Share:

লালগড় সেতুতে বিক্ষোভ।

নতুন সেতুর উদ্বোধনই সার। সংযোগকারী রাস্তার দাবিতে শুক্রবার লালগড় সেতুর উপর জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় কানাইপাল, ধামরো, ঝাপড়দা, চিতরাঙা, চন্দ্রপুরের কয়েকশো গ্রামবাসী।

Advertisement

নয়াগ্রামের প্রশাসনিক মঞ্চ থেকে বৃহস্পতিবার লালগড় সেতুর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু ঝাড়গ্রামের দিকে সংযোগকারী রাস্তা তৈরি না হওয়ায় বাস-লরির মতো ভারী যানবাহন চলতে পারছে না। এ দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাস্তার দাবিতে বিক্ষোভ-জমায়েত করেন বাসিন্দারা। ধামরোর ব্যবসায়ী মলয় মণ্ডল, আলুচাষি অশোক পাত্র, কলেজ পড়ুয়া গৌতম পাত্র, কানাইপালের হারু সিংহ, রবিন ধলদের প্রশ্ন, সংযোগকারী রাস্তাই নেই। তাহলে ৫১ কোটি টাকা খরচ করে সেতু তৈরির যুক্তি কী?

সেতুর ঝাড়গ্রাম প্রান্তে ৩৯৫ মিটার অ্যাপ্রোচ রাস্তার পরে কার্যত যানবাহন চলাচলের মতো রাস্তাই নেই। কানাইপাল থেকে ৭০ মিটার লম্বা সরু মাটির রাস্তা গিয়ে মিশেছে প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনায় নির্মীয়মাণ আমকলা-বেলাটিকরি রাস্তার সঙ্গে। দু’পাশে বাড়িঘর থাকায় কানাইপালের সরু রাস্তা দিয়ে বড় যানবাহন চলতে পারে না।

Advertisement

অ্যাপ্রোচ রোড থেকে আর একটি মাটির রাস্তা কানাইপাল, ধামরো, ঝাপড়দা, চিতরাঙা হয়ে চন্দ্রপুরে পিচ রাস্তায় গিয়ে উঠেছে। মাত্র তিন কিলোমিটার ওই মাটির রাস্তাটি দিয়ে অনেক কম সময়ে ঝাড়গ্রাম পৌঁছনো যাবে। লালগড় থেকে ঝাড়গ্রামের দূরত্বও অনেকটা কমে যাবে।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত বিধানসভা ভোটের আগে রাস্তাটি পিচের হবে বলে তৃণমূল আশ্বাস দিয়েছিল। তারপর মাপজোকও হয়। কিন্তু রাস্তাটি আর তৈরি হয়নি। অভিযোগ, স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা যখন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী ছিলেন, তখন বেহাল মাটির রাস্তাটি পাকা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদিও সুকুমারবাবুর দাবি, “আমি কোনও প্রতিশ্রুতি দিইনি। গ্রামের রাস্তা করার দায়িত্ব পঞ্চায়েতের। যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাঁরা সিপিএমের লোকজন।”

এ দিন অবশ্য কয়েকজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মীকে ‘রাস্তা চাই’ প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে দেখা যায়। পরে বিক্ষোভকারীদের তরফে লালগড়ের বিডিও জ্যোতিন্দ্রনাথ বৈরাগীর কাছে প্রতিনিধিমূলক স্মারকলিপি দেওয়া হয়। বিষয়টি জেলা পরিষদে জানাবেন বলে বাসিন্দাদের আশ্বাস দেন বিডিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন