স্পর্শকাতর এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নির্বাচনী বৈঠকে

লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘স্পর্শকাতর’ এলাকাগুলোয় নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। শুধু দিনে নয়, রাতেও চলবে টহল। ভয়ভীতি ভুলে ভোটাররা যাতে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারেন, সে জন্যই এই আয়োজন। সোমবার জেলাস্তরের প্রশাসনিক বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৪ ০১:০৮
Share:

জেলাপরিষদ হলে নির্বাচনী বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র।

লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘স্পর্শকাতর’ এলাকাগুলোয় নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। শুধু দিনে নয়, রাতেও চলবে টহল। ভয়ভীতি ভুলে ভোটাররা যাতে নিশ্চিন্তে ভোট দিতে পারেন, সে জন্যই এই আয়োজন।

Advertisement

সোমবার জেলাস্তরের প্রশাসনিক বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে আয়োজিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি, জেলা পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ প্রমুখ। ছিলেন এসডিও, বিডিও থেকে শুরু করে আইসি, ওসি’রা। সকাল এগারোটা নাগাদ জেলা পরিষদের শহিদ ক্ষুদিরাম পরিকল্পনা ভবনে বৈঠক শুরু হয়। চলে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত। বৈঠক শেষে জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “ইতিমধ্যে স্পর্শকাতর এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই সব এলাকায় রুট মার্চও চলছে। আগামী দিনে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।”

এ দিনের বৈঠকে নির্বাচনী আচরণবিধি নিয়েও আলোচনা হয়। জানানো হয়, কোন ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কী বিধি রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে এ বার দু’দফায় ভোট হবে। ৭ মে ঝাড়গ্রাম এবং মেদিনীপুরে। ১২ মে ঘাটালে। গণনা ১৬ মে। ঝাড়গ্রাম এবং মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১২ এপ্রিল। ঘাটাল কেন্দ্রের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১৭ এপ্রিল। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পরপরই জেলার বিভিন্ন এলাকায় নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। এক সময় জঙ্গলমহলে মাওবাদী- তৎপরতা ছিল। এখন তা থিতোলেও গত কয়েক দিনে কিছু ল্যান্ডমাইন, অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন থানার আইসি-ওসিদের আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

Advertisement

জেলার বিভিন্ন এলাকায় রুট মার্চ শুরু করেছে পুলিশ। কমিশনের নির্দেশে এ জন্য বিশেষ দল গড়া হয়েছে। এই দলের নাম যেমন ‘ফ্লাইং স্কোয়াড’। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রপিছু ৩টি করে ‘ফ্লাইং স্কোয়াড’ থাকার কথা। এই দলের সঙ্গে ভিডিও ক্যামেরাও থাকবে। প্রয়োজনে ভিডিওগ্রাফি করা যাবে। থাকছে ‘স্ট্যাটিক সার্ভেল্যান্স টিম’ও। এই দলটি বিভিন্ন এলাকায় ‘নাকা’ করবে। বিশেষ করে সীমানা এলাকায় নজরদারি চালাবে। সেটা ভিন্ রাজ্য বা অন্য জেলার সীমানাও হতে পারে, ব্লকের সীমানাও হতে পারে। পশ্চিম মেদিনীপুরে তিনটি লোকসভা কেন্দ্র— মেদিনীপুর, ঘাটাল এবং ঝাড়গ্রাম। জেলার সীমানায় দু’টি রাজ্য রয়েছে ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা। এ ছাড়া হুগলি, বাঁকুড়া এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সীমানা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সঙ্গে। সব সীমানাতেই নজরদারি চলবে।

জেলার কোন এলাকার পরিস্থিতি কেমন, এ দিনের বৈঠকে তা নিয়েও আলোচনা হয়। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “আমরা সব কিছু পর্যালোচনা করেছি। সমন্বয় রেখে কাজ করলে ভুলভ্রান্তির সম্ভাবনা কমে যায়।” জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানান, ভোটের সময় বিভিন্ন এলাকায় গোলমাল হয়। রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে। এ বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে। জেলায় বেশ কিছু স্পর্শকাতর এলাকা রয়েছে। উত্তেজনাপ্রবণ এই সব এলাকায় মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ বাধে। স্পর্শকাতর এই এলাকাগুলোয় নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement