শেষ রক্ষা হল না! ধরিয়ে দিল সিসিটিভি ফুটেজই।
একই দোকানে ফের চুরি করতে গিয়ে পুলিশে জালে পাকড়াও হল তিন মহিলা চোর। গত ৩১ মে খড়্গপুর শহরের কৌশল্যা মোড়ের একটি ফোনের দোকান থেকে দু’টি মোবাইল খোওয়া যায়। দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায়, দুই মহিলা ক্রেতার বেশে দোকানে ঢুকে সকলের অলক্ষে ওই মোবাইল দু’টি চুরি করে পালায়। দোকানের মালিক ঘটনার কথা পুলিশে মৌখিকভাবে জানান।
মঙ্গলবার ফের খড়্গপুর শহর সংলগ্ন ইসমাইলচকের বাসিন্দা চন্দনা গুঁই তাঁর মেয়ে ওই এলাকারই বাসিন্দা স্বপ্না ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে কৌশল্যা মোড়ের ওই ফোনের দোকানে ক্রেতার বেশে ঢোকে। এবার তাঁরা পুরাতনবাজারের বাসিন্দা মিনু বিবিকেও সঙ্গে নিয়ে যায়। দোকানে ঢুকে ওই তিন জন মহিলা মোবাইল দেখতে চান। অনেক ফোন দেখার পর পছন্দ না হওয়ার অছিলায় তাঁরা চলে যাচ্ছেন দেখে দোকানের লোকেদের সন্দেহ হয়। তারপর গত ৩১ মে’র ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা যায়, সেইবারও তাঁদের মধ্যে দু’জন মহিলা দোকানের মোবাইল চুরি করে পালায়। দোকান থেকে খড়্গপুর টাউন থানায় ঘটনার খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসার খবর পেয়ে ওই তিন জন মহিলা দোকান ছেড়ে তড়িঘড়ি বেরোতে যান। কিন্তু, দোকান ছেড়ে বেরোতেই পুলিশের সামনে পড়েন তাঁরা।
পুলিশ ওই তিন মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রথমে তাঁরা গত ৩১ মে’র ঘটনায় যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করে। তারপর তাঁদের সামনেই ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ চালানো হলে তাঁরা ওই ঘটনার যুক্ত থাকার কথা মেনে নেয়। তারপর সিসিটিভি’র ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ ওই তিন মহিলাকে গ্রেফতার করে। দোকানের মালিক সুপ্রিয় মাইতি বলেন, “ওই তিনজনের মধ্যে এক জন একটি খারাপ মোবাইল সারানোর জন্য নিয়ে আসেন। অন্য জন বিভিন্ন দামের মোবাইল দেখতে চাইছিলেন। তার ফাঁকেই ওই দলের তৃতীয় সদস্য মোবাইল চুরির ছক কষেছিল।” তিনি আরও বলেন, “ওই ঘটনায় সন্দেহ হওয়ায় আমরা গত ৩১ মে’র চুরির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজের ছবি মিলিয়ে দেখি। তারপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।” দোকানের মালিক পুলিশে ঘটনার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জমি নিয়ে ঝামেলা। বর্গা জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষ বাধল কংগ্রেস-তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে। বুধবার দুপুরে সবংয়ের দশগ্রাম পঞ্চায়েতের পটনা গ্রামে ওই সংঘর্ষে জখম হন দু’পক্ষের তিনজন। জখম কংগ্রেসের দীপালি গিরি, অঞ্জলি গিরি ও তৃণমূলের স্বপন মণ্ডলকে সবং গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিত্সার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।, ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অমল পণ্ডা বলেন, “ওই জমির বর্গাদার অঞ্জলি ও দীপালি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা ওই জমিতে চাষ করছেন। তৃণমূল তাঁদের দলে টানতে চাপ সৃষ্টি করছিল। কিন্তু তা না পারাতেই এই হামলা।” তৃণমূলে জেলা সাধারণ সম্পাদক ওই ব্লকের নেতা অমূল্য মাইতি বলেন, “বর্গা জমি স্বপন মণ্ডলদের। তাই জমিটি নিয়ে তদন্ত চলছিল। কিন্তু সেই সময় কংগ্রেসের লোকেরা জোর করে বর্গা জমি দখল করতে সমর্থকের ওপর আগে হামলা চালিয়েছে।” পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।