সবং নিয়ে মামলা, ব্যালট বাক্স স্থানান্তর

গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবংয়ের জেলা পরিষদ আসনে গণনা সঠিক হয়নি বলে মামলা করেছে কংগ্রেস। তার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে ব্লক থেকে জেলায় স্থানান্তরিত হল ব্যালট বাক্স। বৃহস্পতিবার সবংয়ের ব্লক অফিস থেকে জেলা ট্রেজারিতে নিয়ে যাওয়া হল জেলা পরিষদের ২৫ নম্বর আসনের সব কটি ব্যালট বাক্স। তত্ত্বাবধানে ছিলেন মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খড়্গপুর শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৪ ০০:১২
Share:

গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে সবংয়ের জেলা পরিষদ আসনে গণনা সঠিক হয়নি বলে মামলা করেছে কংগ্রেস। তার প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে ব্লক থেকে জেলায় স্থানান্তরিত হল ব্যালট বাক্স। বৃহস্পতিবার সবংয়ের ব্লক অফিস থেকে জেলা ট্রেজারিতে নিয়ে যাওয়া হল জেলা পরিষদের ২৫ নম্বর আসনের সব কটি ব্যালট বাক্স। তত্ত্বাবধানে ছিলেন মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী। মহকুমাশাসক সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই ওই ব্যালট বাক্সগুলি স্থানান্তর করা হয়েছে।”

Advertisement

গত বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের ওই আসনে জয়ী হয়েছিলেন সিপিএমের রীতা জানা। এর পরেই কংগ্রেস মামলা রুজু করে। ওই আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন গীতারানি রাউল। ভোটগণনার সময়ও গোলমাল বেধেছিল। একাধিকবার গণনার পরে দেখা যায় সিপিএম প্রার্থী ৭৭ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তাঁকে জয়ী ঘোষণার করার পরেই গণনায় ত্রুটির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে যায়।

স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন ব্যালট বাক্স স্থানান্তরে খুশির আবহ বিধায়ক মানস ভুঁইয়ার ‘খাসতালুক’ সবংয়ের কংগ্রেসের শিবিরে। নেতৃত্বের আশা, শেষমেশ তাঁদের প্রার্থীই জয়ী ঘোষিত হবেন। কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অমল পাণ্ডা বলেন, “মামলার অগ্রগতিকে আমরা সন্তুষ্ট। আমাদের আশা কংগ্রেস প্রার্থীই জয়ী হবেন।” যদিও সিপিএমের জোনাল সম্পাদক অমলেশ বসুর বক্তব্য, “গণনা সঠিক হয়েছিল। আমাদের বিশ্বাস এ ভাবে বাম প্রার্থীর হার হবে না।” এর আগে ১৯৯৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা কংগ্রেসের প্রার্থী মাখনলাল বাঙাল জেতার পরে গণনা সঠিক নয় বলে দাবি করেছিলেন সে বারের কংগ্রেস প্রার্থী মানসবাবু। সে বার হাইকোর্টের রায় মানসবাবুর পক্ষেই যায়। ভোট বাতিল করে আদালত।

Advertisement

কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ। কৃষি দফতরের উদ্যোগে কৃষি যন্ত্রপাতি বিতরণ হল বৃহস্পতিবার। এই উপলক্ষে এ দিন মেদিনীপুরের কৃষি ভবন- এ অনুষ্ঠানও হয়। উপস্থিত ছিলেন কৃষি দফতরের পরিষদীয় সচিব শুভাশিস বটব্যাল, জেলা সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, কৃষি কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ, জেলা কৃষি আধিকারিক নিমাইচন্দ্র রায় প্রমুখ। এদিন মেদিনীপুর সদর, নারায়ণগড় সহ সাতটি ব্লকের ১০৯ জন কৃষককে পাম্প সেট দেওয়া হয়। নারায়ণগড়ের ২৫ জন কৃষককে কিষাণ ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ৪৫ জনকে পাওয়ার টিলার দেওয়া হয়। পাশাপাশি, দাঁতন- ১ এর অবিনাশ দাস এবং নারায়ণগড়ের পশুপতি বেরাকে ব্লক কৃষিরত্ন সন্মানে সন্মানিত করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই এই সন্মান চালু হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন