সব ভোটারের কাছে যান: দীপক

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একই পরিবারের সব ভোটার একটিই রাজনৈতিক দলকে ভোট না-ও দিতে পারেন। তাই আগের মতো পরিবার ভিত্তিক প্রচার করলে চলবে না। পরিবারের প্রতিটি সদস্যের কাছে পৌঁছতে হবে। লোকসভা ভোটের প্রচারে এ ভাবেই দলীয় কর্মীদের জনসংযোগের নিদান দিলেন সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তথা দলের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য দীপক সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৪ ০১:৫০
Share:

কর্মিসভায় দীপক সরকার। —নিজস্ব চিত্র।

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একই পরিবারের সব ভোটার একটিই রাজনৈতিক দলকে ভোট না-ও দিতে পারেন। তাই আগের মতো পরিবার ভিত্তিক প্রচার করলে চলবে না। পরিবারের প্রতিটি সদস্যের কাছে পৌঁছতে হবে। লোকসভা ভোটের প্রচারে এ ভাবেই দলীয় কর্মীদের জনসংযোগের নিদান দিলেন সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক তথা দলের রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য দীপক সরকার।

Advertisement

শুক্রবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম শহরের দেবেন্দ্র মোহন হলে এক কর্মিসভায় দীপকবাবু বলেন, “একটি পরিবারের সব ভোটার একটিই দলকে ভোট দেবেন এমন ভেবে শুধু পরিবারের এক জন ভোটারের কাছে প্রচার করে চলে এলেন, এটা করবেন না। কারণ, রাজ্য ক্ষমতার পালাবদলের তিন বছরে পরিস্থিতি বদলেছে। ফলে একটি পরিবারের সমস্ত সদস্য-ভোটার একটিই দলকে ভোট দেবেন, এমন ধারণা ত্যাগ করুন। প্রতিটি ভোটারের কাছে পৌঁছন।” এ দিন ঝাড়গ্রাম শহরের ৪২ হাজার ভোটারের কাছে দলের নেতা-কর্মীদের পৌঁছনোর বার্তা দিতে ওই কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছিল। সিপিএমের ঝাড়গ্রাম শহর জোনাল কমিটি ও তার অন্তর্গত চারটি লোকাল কমিটি ও ৩৫টি শাখা কমিটির সদস্যরা কর্মিসভায় হাজির ছিলেন।

কর্মিসভায় দীপকবাবু বলেন, “আমরা ক্ষমতায় থাকার সময় জঙ্গলমহলে কী-কী কাজ করেছি, আর তৃণমূলের সরকার কী কাজ করেছে ভোটারের কাছে গিয়ে তথ্য দিয়ে তুলে ধরুন। ক্ষমতায় আসার আগে তৃণমূল অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরে ওদের সব প্রতিশ্রুতি কর্পূরের মতো মিলিয়ে গিয়েছে। আমাদের শুরু করা প্রকল্প গুলিকে নিজেদের বলে চালাচ্ছে।” এ দিন অবশ্য ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী পুলিনবিহারী বাস্কে ওই কর্মিসভায় ছিলেন না। পুলিনবাবুর প্রচার কমিটির অন্যতম আহ্বায়ক প্রদীপ সরকার বলেন, “এ দিন পুলিনবাবু গোয়ালতোড়ে দলীয় প্রচারে গিয়েছিলেন।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন